বছরজুড়েই হাসছে না লিটন দাসের ব্যাট। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো ইনিংস ছাড়া খুব একটা রান পাচ্ছেন না তিনি। সবশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও ব্যর্থ এই ব্যাটার। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থ হলেও আশার কথা, তার নেতৃত্বে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। যে কারণে কিছুটা হলেও সমালোচনা থেকে বাঁচতে পারছেন লিটন।
টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ খেলে লিটন করেছেন মোটে ১৪ রান। তার আগে ওয়ানডেতেও ছিলেন আরও ব্যর্থ। এই অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে কবে হাসবে লিটনের ব্যাট। তিনিই বা রানে ফিরতে কী করছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সে সব প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে লিটনকে। যার উত্তরে লিটন জানিয়েছেন তার বিশ্বাস দ্রুতই হাসবে তার ব্যাট।
লিটন বলেন, ‘ব্যাটিংয়ে আমি চেষ্টা করছি। তিন ফরম্যাট খেলছি, লাগাতার একটু খারাপ চলে গেছে। আমি চেষ্টা করছি। সালাউদ্দিন স্যারের সাথে কাজ করছি। সালাউদ্দিন স্যার অনেক হেল্পফুল। আমাদের অনেক সহায়তা করছেন। প্রত্যেক খেলোয়াড় স্যারের সাথে ফ্রি। স্যার খুব ছোট থেকে খেলোয়াড়দের চেনেন। ব্যাপারটা মানসিকভাবে আমাদের অনেক সহায়তা করছে। আমিও স্যারের সাথে কথা বলছি। আমার মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি এখান থেকে বের হয়ে আসতে পারব।’
কোচ সালাউদ্দিনকে নিয়ে লিটন আরও বলেন, ‘সব কোচিং স্টাফই অনেক ফ্রেন্ডলি। নতুন কোচও। উনি কখনও খেলোয়াড়দের ওপর চাপিয়ে দেন না। আমরা যেহেতু অনেক দিন ধরে খেলছি আমাদের ক্তহারও মূল্য আছে। এ জিনিসটা গ্রহণ করেন। সালাউদ্দিন স্যারের কথা যেটা বললাম, আমরা বেশিরভাগই স্যারের হাত ধরে কোথাও না কোথাও খেলেছি। সবাইকে চেনে। আলোচনা ভালো হচ্ছে ড্রেসিংরুমে। স্যার খুবই ফ্রেন্ডলি মানুষ যার সাথে সব ধরণের কথা বলতে পারবেন। কেউ চাপে থাকলেও বের হয়ে আসতে পারে।’
সালাউদ্দিনের অধীনে সবাই ফ্রিলি কাজ করতে পারছেন দাবি লিটনের, ‘কিছু জিনিস তো চেঞ্জ হচ্ছে। স্যারের বার্তা, ফ্রি কথাবার্তাগুলো… স্যারকে কেউ না কেউ কোথাও না কোথাও পেয়েছে। একাডেমিতেও অনেকে প্র্যাকটিস করেছে। স্যার খুব ভালো জানে কে কি করতে পারে না পারে। উনার গাইডলাইন খুব ভালোভাবে নিচ্ছে। এটা পজিটিভ সাইন। ফ্রিলি কথা বলতে পারছি, ভুল ধরিয়ে দিচ্ছে।’
কেকে