বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় আজ বুধবার থেকে কার্যকর হচ্ছে। কার্যকর হওয়ার আগেই বিশ্বনেতারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, চেষ্টা করছেন শুল্ক কমাতে। ট্রাম্পের ভাষায়, এসব দেশের নেতারা আমাদের ফোন করছেন। আমার পশ্চাদ্দেশে চুমু খাচ্ছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, বিশ্বনেতারা এখন আমাকে ‘স্যার’ ‘স্যার’ করছেন। চুক্তি করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে পড়েছেন।
হোয়াইট হাউসের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নতুন শুল্ক কমাতে এরই মধ্যে ইসরাইল চুক্তির চেষ্টা করছে। তাদের প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পথে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করবেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
৯ এপ্রিল থেকে পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলেও তা আলোচনা সাপেক্ষে কমানো যাবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাদের মতে, এ জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলো উল্লিখিত দেশের পথ অনুসরণ করতে পারে। তবে বিভিন্ন চুক্তির বিনিময়ে শুল্ক কতটুকু কমানো হবে, তা স্পষ্ট নয়।
আরোপিত শুল্ক নিয়ে কী করা উচিত, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনেকে তা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারছে না। কী করা যায়, তা নিয়ে এসব দেশের কর্মকর্তাদের উপদেশ দিচ্ছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো নতুন শুল্কের মুখে থাকা দেশগুলোকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে। তাদের পরামর্শ, শুল্ক কমানোর জন্য শুধু বাণিজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা ঠিক হবে না। অন্যান্য খাতে কোনো সুযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তাদের বার্তায় একটি বিষয় স্পষ্ট। তারা বলতে চাইছে, আপনাদের যদি বিশেষ কোনো কার্ড থাকে, তা ব্যবহার করা উচিত।
কেকে