ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় কমিটি হচ্ছে : আইন উপদেষ্টা ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলের মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট সেপ্টেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে : গভর্নর বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হওয়ার জন্য দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা নতুন চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় ইরান মনপুরায় ভিজিএফ চাউলের চুরি ধরা পরায় সাংবাদিকদের হুমকি ওয়ার্ড মেম্বারের

ফরিদপুরে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা

ছবিঃ সংগৃহীত

ফরিদপুরে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে পিটিয়ে মেরেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চর নশিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে পুলিশ গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় আটক করে ধর্ষক শাহিন ওরফে হায়দার মোল্লাকে (৫৫)। নিহতদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।

ধর্ষণের শিকার শিশু চর নশিপুর গ্রামের জিয়া মোল্লার মেয়ে। সে সরকারি চর নশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, গণপিটুনিতে মারা গেছে হায়দার মোল্লা। হায়দার মোল্লা চর নশিপুর গ্রামের জহিরউদ্দিন মোল্লার ছেলে। পুলিশ গণপিটুনি দেওয়া জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে পরিবারের স্বজনরা এবং স্থানীয় গ্রামবাসী মিলে শিশুটিকে খুঁজতে বের হয়। একপর্যায়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় রাতেই একটি জিডি করে। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক জিয়া মোল্লার বাড়িতে যায় এবং বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে।

বুধবার সকালে শিশুটির বাড়িতে গিয়ে হায়দার মোল্লার সঙ্গে কথা হলে তাকে সন্দেহ করে পুলিশ। এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ও পুলিশের উপস্থিতিতে হায়দারকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শিশুটিকে হত্যা করেছে বলে জানান। বুধবার বিকেলে তার কথামতে শিশুটির বাড়ির পাশে হায়দার মোল্লার ঘরের মধ্যে শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। লাশের শরীরে ধর্ষণের আলামত দেখা গেছে। হায়দার এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে দীর্ঘদিন জেল খেটেছিল।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

ফরিদপুরে সাত বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা

আপডেট সময় : ১১:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ফরিদপুরে সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে পিটিয়ে মেরেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের চর নশিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে পুলিশ গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় আটক করে ধর্ষক শাহিন ওরফে হায়দার মোল্লাকে (৫৫)। নিহতদের দুজনের বাড়ি একই এলাকায়।

ধর্ষণের শিকার শিশু চর নশিপুর গ্রামের জিয়া মোল্লার মেয়ে। সে সরকারি চর নশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অম্বিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম বলেন, গণপিটুনিতে মারা গেছে হায়দার মোল্লা। হায়দার মোল্লা চর নশিপুর গ্রামের জহিরউদ্দিন মোল্লার ছেলে। পুলিশ গণপিটুনি দেওয়া জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।

এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশুটি মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে পরিবারের স্বজনরা এবং স্থানীয় গ্রামবাসী মিলে শিশুটিকে খুঁজতে বের হয়। একপর্যায়ে তাকে না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় রাতেই একটি জিডি করে। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক জিয়া মোল্লার বাড়িতে যায় এবং বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে।

বুধবার সকালে শিশুটির বাড়িতে গিয়ে হায়দার মোল্লার সঙ্গে কথা হলে তাকে সন্দেহ করে পুলিশ। এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ও পুলিশের উপস্থিতিতে হায়দারকে আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি শিশুটিকে হত্যা করেছে বলে জানান। বুধবার বিকেলে তার কথামতে শিশুটির বাড়ির পাশে হায়দার মোল্লার ঘরের মধ্যে শিশুটির মরদেহ বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। লাশের শরীরে ধর্ষণের আলামত দেখা গেছে। হায়দার এর আগে ধর্ষণের অভিযোগে দীর্ঘদিন জেল খেটেছিল।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান কালবেলাকে বলেন, হত্যার আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা তা মেডিকেল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

কেকে