ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রুহিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট আটক ২

ছবি: সংগৃহীত

মোঃ সাদেকুল ইসলাম, রুহিয়া প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কানি কশালগাঁও গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাসার ভিতর ঢুকে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ি-ঘরে হাঠমলা-ভাঙচুরের পর দুইজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে রবিউল ইসলাম ও তার সহযোগীরা।

জানাগেছে, বাড়ির ভিতর ঢুকে ছাগল ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২২ এপ্রিল দু-পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রবিউল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম কে সঙ্গে নিয়ে তার বড় ভাবি মর্জিনা বেগকে বেধর মারপিট করে শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে পড়নের শাড়ি, ওড়না টানা হেচড়া করে ছিড়িয়ে ফেলে বিবস্ত্র করে। পরক্ষণে রবিউলের পিতা দেখতে পেয়ে বাধা নিষেধ করলে রবিউল তার নিজ পিতাকে বেধর মারপিট করে বলে জানান আব্দুল সোবাহান। এ ঘটনায় ৫ মে ২০২৫ মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তভার রুহিয়া থানা পুলিশকে দেয়।

পরবর্তীতে রুহিয়া থানা পুলিশ গত ১৬ মে সরেজমিন তদন্ত করতে গেলে রবিউল ইসলাম আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার বড় ভাই মো: শাঈদ পারভেজকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছোড়া দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দিয়ে গুরুতর কাটা জখম করে। পরে শাঈদ পারভেজ এর বড় ছেলে মুন্না ইসলাম হোট্টোগোল শুনতে পেলে দেখতে গিয়ে দেখেন তার বাবাকে রবিউল সহ অন্যান্য সহযোগীরা রক্তাক্ত জখম করে রামদা দিয়ে কোপাইতে থাকে। মুন্না তার বাবাকে মারধর থেকে বাঁচাতে গেলে রবিউলের হুকুমে তার সহযোগীরা মিলে মুন্নাকে বেধর মারপিট করে হাত পা ভেঙে দেয়। সেই সময় রবিউলের আপন পিতা আব্দুল সোবাহান আবারো বাধা নিষেধ করলে সে পিতাকেও মারপিট করে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে আব্দুল সোবাহান নিরুপায় হয়ে গত ১৮ মে ২০২৫ ১.রবিউল ইসলাম(৩৫) ২. ইয়াসমিন আক্তার (২৮) ৩. আইনুল হক ৪. রশিদা বেগম ৫. জাকির হোসেনকে বিরুদ্ধে বাদি হয়ে রুহিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ০৬।

রুহিয়া থানার এস আই সুলতান আলী অভিযান চালিয়ে গত ২২ মে রবিউল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে বাকি আসামীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ, কে, এম নাজমুল কাদের বলেন বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রুহিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট আটক ২

আপডেট সময় : ১১:৩৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

মোঃ সাদেকুল ইসলাম, রুহিয়া প্রতিনিধিঃ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কানি কশালগাঁও গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাসার ভিতর ঢুকে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ি-ঘরে হাঠমলা-ভাঙচুরের পর দুইজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে রবিউল ইসলাম ও তার সহযোগীরা।

জানাগেছে, বাড়ির ভিতর ঢুকে ছাগল ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২২ এপ্রিল দু-পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রবিউল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম কে সঙ্গে নিয়ে তার বড় ভাবি মর্জিনা বেগকে বেধর মারপিট করে শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে পড়নের শাড়ি, ওড়না টানা হেচড়া করে ছিড়িয়ে ফেলে বিবস্ত্র করে। পরক্ষণে রবিউলের পিতা দেখতে পেয়ে বাধা নিষেধ করলে রবিউল তার নিজ পিতাকে বেধর মারপিট করে বলে জানান আব্দুল সোবাহান। এ ঘটনায় ৫ মে ২০২৫ মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তভার রুহিয়া থানা পুলিশকে দেয়।

পরবর্তীতে রুহিয়া থানা পুলিশ গত ১৬ মে সরেজমিন তদন্ত করতে গেলে রবিউল ইসলাম আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তার বড় ভাই মো: শাঈদ পারভেজকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছোড়া দ্বারা শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দিয়ে গুরুতর কাটা জখম করে। পরে শাঈদ পারভেজ এর বড় ছেলে মুন্না ইসলাম হোট্টোগোল শুনতে পেলে দেখতে গিয়ে দেখেন তার বাবাকে রবিউল সহ অন্যান্য সহযোগীরা রক্তাক্ত জখম করে রামদা দিয়ে কোপাইতে থাকে। মুন্না তার বাবাকে মারধর থেকে বাঁচাতে গেলে রবিউলের হুকুমে তার সহযোগীরা মিলে মুন্নাকে বেধর মারপিট করে হাত পা ভেঙে দেয়। সেই সময় রবিউলের আপন পিতা আব্দুল সোবাহান আবারো বাধা নিষেধ করলে সে পিতাকেও মারপিট করে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা শেষে আব্দুল সোবাহান নিরুপায় হয়ে গত ১৮ মে ২০২৫ ১.রবিউল ইসলাম(৩৫) ২. ইয়াসমিন আক্তার (২৮) ৩. আইনুল হক ৪. রশিদা বেগম ৫. জাকির হোসেনকে বিরুদ্ধে বাদি হয়ে রুহিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং ০৬।

রুহিয়া থানার এস আই সুলতান আলী অভিযান চালিয়ে গত ২২ মে রবিউল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে বাকি আসামীদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাদের বাড়ি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এ, কে, এম নাজমুল কাদের বলেন বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এমএস