ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়েছে। খবর আল-জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্পর্কে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি বিবৃতি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এটি গ্রহণ করেছেন এবং তিনি একটি বিবৃতি দেবেন।
ইরান ও ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমে দুসপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধের বিরতি শুরুর খবর প্রকাশের পর এ বিবৃতি জারি করা হলো। ইরান ও ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলোও যুদ্ধবিরতি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে সময় ও শর্ত নিয়ে বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।
এর আগে ইসরাইল ও ইরান একটি ‘সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরাইলের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। তবে এই যুদ্ধবিরতি ঠিক কখন এবং কী শর্তে শুরু হয়েছে, তা নিয়ে এখনো স্পষ্টতা আসেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে একটি সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন এবং জানান— এটি ঘোষণার প্রায় ছয় ঘণ্টা পর কার্যকর হবে। তার হিসাবে, রাত ১২টা (ইস্টার্ন টাইম) নাগাদ যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কথা।
এর ঠিক কিছু সময় পর, ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম প্রেস টিভি শিরোনামে জানায়, ইসরাইল অধিকৃত এলাকায় ইরানের চার দফা হামলার পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
ইরানের আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক লাইনের বার্তায় জানায়, যুদ্ধবিরতি এখন বাস্তবায়নের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল১২ ও ওয়াইনেট-ও জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া একধাপ এগিয়ে দাবি করেছে, এই যুদ্ধবিরতি শত্রুর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদিও সুনির্দিষ্ট সময় উল্লেখ করেনি তারা।
কেকে