ওমানের মাধ্যেমে ইরানের কাছে পারমাণবিক চুক্তির একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তেহরান ও ওয়াশিংটন শনিবার (৩১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। দুদেশের মধ্যে চলমান পারমাণবিক আলোচনার মধ্যস্থতা করছে ওমান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি শনিবার বলেন, তেহরান সফরকালে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আলবুসাইদি ‘যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তির কিছু বিষয়’ তার কাছে উপস্থাপন করেছেন।
এ খবরটি আসার আগে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) বলেছে যে, ইরান উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়িয়েছে। এটি পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিয়াভিট শনিবার বলেন, চুক্তিটি গ্রহণ করে নেয়াই ইরানের জন্য সর্বোত্তম হবে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটা পরিষ্কার করেছেন যে ইরান কখনোই পরমাণু বোমার অধিকারী হতে পারবে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক্সে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নীতি, জাতীয় স্বার্থ ও ইরানের জনগণের অধিকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের যথাযথ জবাব দেয়া হবে।’
চুক্তিটির বিস্তারিত এখনো পরিষ্কার করা হয়নি। তবে এই প্রস্তাবটি এসেছে আইএইএ-এর রিপোর্টের পর। ওই রিপোর্টে বলা হয়, ইরানের হাতে ৬০ শতাংশ মাত্রার ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত আছে। এটি পরমাণু অস্ত্রের জন্য দরকারি ৯০ শতাংশ মাত্রার কাছেই।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গেল তিন মাসে উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে তেহরান। ফেব্রুয়ারির তুলনায় এখন ইরানের কাছে এই ধরনের ইউরেনিয়ামের পরিমাণ প্রায় ৪০৮ কেজি। এ মজুতকে নজীরবিহীন হিসেবে আখ্যা দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএইএ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইরান এখনও এমন তিনটি কেন্দ্রে পরিদর্শনের অনুমতি দিচ্ছে না, যেখানে অতীতে গোপনে পারমাণবিক উপাদান ব্যবহারের অভিযোগ আছে। সংস্থাটি বলছে, বিষয়টি শঙ্কার।
তবে ইরান বরাবরই বলে আসছে যে তার পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত মিডিয়ায় আইএইএ’ র রিপোর্টকে ভিত্তিহীন অভিযোগ সম্বলিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
কেকে