ঢাকা ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যা মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা

ছবিঃ সংগৃহীত

ডেস্ক রিপোর্ট

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির করা এ মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও এক দেশ যোগ দিয়েছে।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগের আদালতের তথ্যানুসারে, বলিভিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যা মামলায় যোগ দিয়েছে।

দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশ মঙ্গলবার এই মামলায় হস্তক্ষেপ করার জন্য একটি আবেদন দাখিল করেছে, যেখানে গাজা যুদ্ধে গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেছে।

এর আগে নিকারাগুয়া, কলম্বিয়া, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মিসর, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, তুরস্ক ও চিলি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ বা আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করে। দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে গণহত্যার আচরণ স্পষ্ট। তারা ফিলিস্তিনি জাতীয়তা, জাতিগত ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হামলা করছে।

মামলার আবেদনে বিচারকদের কাছে আরজি পেশ করা হয় যে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে; তা যেন ঘোষণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধে নেতানিয়াহু সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছর ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইনরায়েলে। দেশটির এ হামলায় তৈরি হওয়া ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসংঘের হিসাবমতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিশরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে

গাজাভিত্তিক জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা গত সপ্তাহে গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষতি করা হয়েছে, তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে… দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি ভবনও নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত অর্থেই এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যেখানে আগে পাহাড় ছিল না, এখন সেখানে পাহাড় হয়ে গেছে। দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই এ অঞ্চলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যা মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা

আপডেট সময় : ০৪:৫১:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির করা এ মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরও এক দেশ যোগ দিয়েছে।

বুধবার (০৯ অক্টোবর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগের আদালতের তথ্যানুসারে, বলিভিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যা মামলায় যোগ দিয়েছে।

দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশ মঙ্গলবার এই মামলায় হস্তক্ষেপ করার জন্য একটি আবেদন দাখিল করেছে, যেখানে গাজা যুদ্ধে গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করে ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেছে।

এর আগে নিকারাগুয়া, কলম্বিয়া, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মিসর, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, তুরস্ক ও চিলি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা পোষণ বা আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করে। দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে গণহত্যার আচরণ স্পষ্ট। তারা ফিলিস্তিনি জাতীয়তা, জাতিগত ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হামলা করছে।

মামলার আবেদনে বিচারকদের কাছে আরজি পেশ করা হয় যে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে; তা যেন ঘোষণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধে নেতানিয়াহু সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করা হয়।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছর ধরে হামলা চালিয়ে আসছে ইনরায়েলে। দেশটির এ হামলায় তৈরি হওয়া ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করতে অন্তত ১৫ বছর সময় লাগবে। এজন্য প্রতিদিন ১০০টি লরি ব্যবহার করতে হবে।

জাতিসংঘের হিসাবমতে, গাজায় ভবন ধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিশরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে

গাজাভিত্তিক জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা গত সপ্তাহে গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষতি করা হয়েছে, তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে… দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি ভবনও নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত অর্থেই এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যেখানে আগে পাহাড় ছিল না, এখন সেখানে পাহাড় হয়ে গেছে। দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই এ অঞ্চলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে।’