ঢাকা ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিবির নেতার ভুলে আমিমুল ইহসান হল হয়ে গেল ‘আমির উদ্দিন হল’! সিএনজি পাম্পে গ্যাস নিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চালকের মৃত্যু বিএনপি’র দুর্দিনে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েও কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মোঃ রাজন আলী গুম কমিশনে ২৫৩ জনের অভিযোগ প্রমাণিত: মইনুল ইসলাম গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে ইলিশ রক্ষা আমাদের জাতীয় কর্তব্য: মৎস্য উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি : সেনাসদর বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর: তারেক রহমান ভালো আলাপ-আলোচনা হচ্ছে কিন্তু ঐকমত‍্য হচ্ছে না : এবি পার্টি প্রায় প্রতিদিনই ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কথা হয়: নেতানিয়াহু

জামায়াতের নিবন্ধন ফেরতের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ: ইসি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফেরতের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার সন্ধ্যায় এ রায় প্রকাশ করা হয়।

এর আগে সকালে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তবে দলটির দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টিও নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এক যুগ পর সেই রায় বাতিল করে দিল আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক।

রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে ছিল। গত ১৪ মে আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে ফেরার এমনকি দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল জামায়াতে ইসলামীর।

জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াতে ইসলামী।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিবির নেতার ভুলে আমিমুল ইহসান হল হয়ে গেল ‘আমির উদ্দিন হল’!

জামায়াতের নিবন্ধন ফেরতের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ: ইসি

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফেরতের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার সন্ধ্যায় এ রায় প্রকাশ করা হয়।

এর আগে সকালে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তবে দলটির দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টিও নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এক যুগ পর সেই রায় বাতিল করে দিল আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক।

রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে ছিল। গত ১৪ মে আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে ফেরার এমনকি দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল জামায়াতে ইসলামীর।

জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াতে ইসলামী।

কেকে