ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান নোয়াখালীতে হামলার প্রতিবাদে বাগেরহাট পি.সি. কলেজে কোরআন বিতরণ বাগেরহাটে মাদ্রাসার গভর্নিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হুমকি-ধামকি ও মারধর সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ফিকহ বিভাগে সাফল্যের জোয়ার শরীয়তপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে হেযবুত তাওহীদের মতবিনিময় সভা নলডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ পালিত নাটোরের সিংড়ায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার: অভিযুক্ত রানা পলাতক কুমিল্লায় পিআর পদ্ধতিসহ ৫দফা দাবিতে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ নোবিপ্রবিতে শীঘ্রই হচ্ছে ছাত্রদলের কমিটি, আলোচনায় জুলাই যোদ্ধা হাসিব ঐশ্বরিয়ার প্রথম পারিশ্রমিক কত ছিল?

জামায়াতের নিবন্ধন ফেরতের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ: ইসি

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফেরতের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার সন্ধ্যায় এ রায় প্রকাশ করা হয়।

এর আগে সকালে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তবে দলটির দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টিও নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এক যুগ পর সেই রায় বাতিল করে দিল আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক।

রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে ছিল। গত ১৪ মে আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে ফেরার এমনকি দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল জামায়াতে ইসলামীর।

জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াতে ইসলামী।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

জামায়াতের নিবন্ধন ফেরতের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ: ইসি

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফেরতের সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) পাঠিয়েছে আদালত।

রোববার সন্ধ্যায় এ রায় প্রকাশ করা হয়।

এর আগে সকালে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। তবে দলটির দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এ বিষয়টিও নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দেয় হাইকোর্ট। এক যুগ পর সেই রায় বাতিল করে দিল আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর আপিল শুনানি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারকের বেঞ্চ রোববার এ রায় দেয়। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক।

রোববার মামলাটি কার্যতালিকায় এক নম্বরে ছিল। গত ১৪ মে আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

ঐতিহাসিক এ রায়ের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে ফেরার এমনকি দলীয় প্রতীক নিয়ে আগামী ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলল জামায়াতে ইসলামীর।

জামায়াতকে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে রিট করা হয়। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সনদ দেন, যা একই বছর আপিল হিসেবে রূপান্তরিত হয়। রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে জামায়াতে ইসলামী।

কেকে