ঢাকা ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এইচএসসি পরীক্ষা কি পেছাবে? তজুমুদ্দিন উপজেলায় প্রাইমারি স্কুলের নিয়োগ বানিজ্যের সহযোগী সামিয়া গ্রেফতার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা বকশীগঞ্জে বহাল তবিয়তে স্বৈরাচারের দোসর সোহানুর রহমান: জনমনে ক্ষোভ ও প্রতিরোধের ডাক বৈঠক শেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন আমির খসরু কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে নতুন গ্যাসের সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা সরকার আইসিটি খাতের টেকসই ভিত্তি গড়তে কাজ করছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা স্থগিত করল ইরান শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

সৌদির সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের

মোহাম্মদ বিন সালমান ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলমান সৌদি আরব সফরে যেসব চুক্তি হচ্ছে তার মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তিও আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এ চুক্তির আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র ও অন্য সামরিক উপকরণ ক্রয় করবে।

এ প্যাকেজের আওতায় রাডার সিস্টেম ও পরিবহন বিমান কেনার বিষয়টিও আছে বলে জানা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘকাল ধরেই সৌদি আরবের অস্ত্রের বড় সরবরাহকারী দেশ। যদিও দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়েছিলো জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকার সময় ২০২১ সালে।

ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির ভূমিকা উদ্বেগ প্রকাশ করে তখন সৌদি আরবকে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছিল বাইডেন প্রশাসন।

এর আগে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডও দেশ দুটির সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছিলো যে যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান ওই হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছিলেন।

যদিও এ অভিযোগ সৌদি আরব সবসময় প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

সৌদি সফর শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সফরে গাজা পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সময় ভোর ২টা ৪৯ মিনিটে (সৌদি সময় সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে) এয়ার ফোর্স ওয়ান রিয়াদে অবতরণ করে। সৌদি আকাশসীমায় প্রবেশের সময় এফ-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো তাকে ঘিরে রাখে, যা কূটনৈতিক সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

রিয়াদ রয়্যাল টার্মিনালে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে রাজকীয় বেগুনি কার্পেট বিছানো হয়। সেখানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা জানান। পরে টার্মিনালের ভিতরে একটি ঐতিহ্যবাহী কফি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তারা, এরপর ট্রাম্প নিজ হোটেলের উদ্দেশে রওনা হন।

রিয়াদের রাস্তাগুলোতে সৌদি ও আমেরিকার পতাকা শোভা পাচ্ছিল, সফরের রাজকীয় মর্যাদা তুলে ধরতেই এই আয়োজন। দিনটিতে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিক আগমন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, এক সিইও লাঞ্চনে অংশ নেবেন এবং রয়্যাল কোর্টে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।

এছাড়াও তিনি মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে বক্তব্য দেবেন, ইউনেসকো স্বীকৃত ঐতিহাসিক স্থান দিরিয়াহ ও আত-তুরাইফ ঘুরে দেখবেন এবং দিনের শেষে যুবরাজের দেয়া রাজকীয় নৈশভোজে অংশ নেবেন।

বিবিসি

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এইচএসসি পরীক্ষা কি পেছাবে?

সৌদির সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলমান সৌদি আরব সফরে যেসব চুক্তি হচ্ছে তার মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তিও আছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।

এ চুক্তির আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র ও অন্য সামরিক উপকরণ ক্রয় করবে।

এ প্যাকেজের আওতায় রাডার সিস্টেম ও পরিবহন বিমান কেনার বিষয়টিও আছে বলে জানা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘকাল ধরেই সৌদি আরবের অস্ত্রের বড় সরবরাহকারী দেশ। যদিও দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কে কিছুটা ভাটা পড়েছিলো জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকার সময় ২০২১ সালে।

ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির ভূমিকা উদ্বেগ প্রকাশ করে তখন সৌদি আরবকে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছিল বাইডেন প্রশাসন।

এর আগে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যাকাণ্ডও দেশ দুটির সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিলো। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছিলো যে যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান ওই হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছিলেন।

যদিও এ অভিযোগ সৌদি আরব সবসময় প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

সৌদি সফর শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সফরে গাজা পরিস্থিতি ও ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সময় ভোর ২টা ৪৯ মিনিটে (সৌদি সময় সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে) এয়ার ফোর্স ওয়ান রিয়াদে অবতরণ করে। সৌদি আকাশসীমায় প্রবেশের সময় এফ-১৫ যুদ্ধবিমানগুলো তাকে ঘিরে রাখে, যা কূটনৈতিক সম্মানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

রিয়াদ রয়্যাল টার্মিনালে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে রাজকীয় বেগুনি কার্পেট বিছানো হয়। সেখানে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পকে অভ্যর্থনা জানান। পরে টার্মিনালের ভিতরে একটি ঐতিহ্যবাহী কফি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তারা, এরপর ট্রাম্প নিজ হোটেলের উদ্দেশে রওনা হন।

রিয়াদের রাস্তাগুলোতে সৌদি ও আমেরিকার পতাকা শোভা পাচ্ছিল, সফরের রাজকীয় মর্যাদা তুলে ধরতেই এই আয়োজন। দিনটিতে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিক আগমন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, এক সিইও লাঞ্চনে অংশ নেবেন এবং রয়্যাল কোর্টে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।

এছাড়াও তিনি মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে বক্তব্য দেবেন, ইউনেসকো স্বীকৃত ঐতিহাসিক স্থান দিরিয়াহ ও আত-তুরাইফ ঘুরে দেখবেন এবং দিনের শেষে যুবরাজের দেয়া রাজকীয় নৈশভোজে অংশ নেবেন।

বিবিসি

কেকে