ঢাকা ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

ইইউ ও বাংলাদেশের পতাকা। ছবি : সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশ। অভিবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে জোটটি বাংলাদেশসহ ৭টি দেশকে এ তালিকায় স্থান দিয়েছে। এতে করে এসব দেশে আশ্রয় পাওয়া কঠিন হবে। এছাড়া এ উদ্যোগের মাধ্যমে সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া প্রবাসীদের দেশে ফেরানোও সহজ হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অভিবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ৭টি দেশকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, মিসর, তিউনিসিয়া, মরক্কো, কসোভো ও কলম্বিয়া। ইইউ পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর তালিকাটি কার্যকর হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র মার্কুস ল্যামার্ট জানিয়েছেন, এই তালিকা চলমান এবং প্রয়োজনে দেশ যুক্ত বা বাদ দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, যদি কোনো দেশ আর নিরাপদ না থাকে, তবে সেটি তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

২০১৫-১৬ সালে ইউরোপে অভিবাসীদের ঢল শুরু হওয়ার পর থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো আশ্রয় নীতিতে সংস্কার আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছর একটি মাইগ্রেশন ও অ্যাসাইলাম চুক্তি হলেও তা কার্যকর হবে ২০২৬ সালের জুনে। এর আগেই দ্রুত প্রক্রিয়া ও ফেরত পাঠানোর নিয়ম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ইইউ।

জোটের সদস্যভুক্ত দেশ ইতালি অভিবাসনের চাপ সবচেয়ে বেশি অনুভব করছে। দেশটি এই সংস্কারের পক্ষে জোরালোভাবে অবস্থান নিয়েছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্টেডোসি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ, মিসর ও তিউনিসিয়াকে তালিকাভুক্ত করা রোমের জন্য একটি ‘বড় কূটনৈতিক সাফল্য’।

তবে এই তালিকাকে কেন্দ্র করে কিছু বিতর্কও তৈরি হয়েছে। ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস ইতালির এক পরিকল্পনা আটকে দিয়েছে। কেননা বাংলাদেশি ও মিসরীয় অভিবাসীদের আলবেনিয়ায় ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানোর কথা ছিল। আদালত জানায়, কোনো দেশকে ‘নিরাপদ’ বলা যাবে না যদি সেখানে সব অঞ্চল ও সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হয়।

মানবাধিকার সংগঠন ইউরেোমেড রাইটস এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, এসব দেশের মধ্যে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির রয়েছে এবং নিজ দেশের নাগরিক ও অভিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা নেই।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৮:১০:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশ। অভিবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে জোটটি বাংলাদেশসহ ৭টি দেশকে এ তালিকায় স্থান দিয়েছে। এতে করে এসব দেশে আশ্রয় পাওয়া কঠিন হবে। এছাড়া এ উদ্যোগের মাধ্যমে সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া প্রবাসীদের দেশে ফেরানোও সহজ হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অভিবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ৭টি দেশকে ‘নিরাপদ দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই তালিকায় থাকা দেশগুলো হলো বাংলাদেশ, ভারত, মিসর, তিউনিসিয়া, মরক্কো, কসোভো ও কলম্বিয়া। ইইউ পার্লামেন্টে অনুমোদনের পর তালিকাটি কার্যকর হবে।

ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র মার্কুস ল্যামার্ট জানিয়েছেন, এই তালিকা চলমান এবং প্রয়োজনে দেশ যুক্ত বা বাদ দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, যদি কোনো দেশ আর নিরাপদ না থাকে, তবে সেটি তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

২০১৫-১৬ সালে ইউরোপে অভিবাসীদের ঢল শুরু হওয়ার পর থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলো আশ্রয় নীতিতে সংস্কার আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত বছর একটি মাইগ্রেশন ও অ্যাসাইলাম চুক্তি হলেও তা কার্যকর হবে ২০২৬ সালের জুনে। এর আগেই দ্রুত প্রক্রিয়া ও ফেরত পাঠানোর নিয়ম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ইইউ।

জোটের সদস্যভুক্ত দেশ ইতালি অভিবাসনের চাপ সবচেয়ে বেশি অনুভব করছে। দেশটি এই সংস্কারের পক্ষে জোরালোভাবে অবস্থান নিয়েছে। ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্টেডোসি জানিয়েছেন, বাংলাদেশ, মিসর ও তিউনিসিয়াকে তালিকাভুক্ত করা রোমের জন্য একটি ‘বড় কূটনৈতিক সাফল্য’।

তবে এই তালিকাকে কেন্দ্র করে কিছু বিতর্কও তৈরি হয়েছে। ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস ইতালির এক পরিকল্পনা আটকে দিয়েছে। কেননা বাংলাদেশি ও মিসরীয় অভিবাসীদের আলবেনিয়ায় ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানোর কথা ছিল। আদালত জানায়, কোনো দেশকে ‘নিরাপদ’ বলা যাবে না যদি সেখানে সব অঞ্চল ও সংখ্যালঘুর নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হয়।

মানবাধিকার সংগঠন ইউরেোমেড রাইটস এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, এসব দেশের মধ্যে এমন কিছু দেশ রয়েছে, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির রয়েছে এবং নিজ দেশের নাগরিক ও অভিবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা নেই।

কেকে