ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এইচএসসি পরীক্ষা কি পেছাবে? তজুমুদ্দিন উপজেলায় প্রাইমারি স্কুলের নিয়োগ বানিজ্যের সহযোগী সামিয়া গ্রেফতার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা বকশীগঞ্জে বহাল তবিয়তে স্বৈরাচারের দোসর সোহানুর রহমান: জনমনে ক্ষোভ ও প্রতিরোধের ডাক বৈঠক শেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন আমির খসরু কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে নতুন গ্যাসের সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা সরকার আইসিটি খাতের টেকসই ভিত্তি গড়তে কাজ করছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা স্থগিত করল ইরান শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

গোপনে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে ইরান

ছবি : সংগৃহীত

ইরান গোপনে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, যা উত্তর কোরিয়ার নকশার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এবং ইউরোপে আঘাত হানতে সক্ষম। এমনটাই দাবি করেছে দেশটির বিরোধী গোষ্ঠী ন্যাশনাল কাউন্সিল অব রেজিস্ট্যান্স অব ইরান (এনসিআরআই)।

গোষ্ঠীটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অস্ত্র দুটি স্থাপনায় তৈরি হচ্ছে। যা মূলত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র হিসেবে ছদ্মবেশে কাজ করছে।

এনসিআরআই-এর মতে, তেহরান এই কেন্দ্রগুলোতে পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুততর করছে।

তাদের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৩,০০০ কিলোমিটারের বেশি (১,৮০০ মাইল) অতিক্রম করতে সক্ষম। যা ইউরোপের বিভিন্ন অংশকে লক্ষ্যে পরিণত করতে পারে।

এনসিআরআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) এবং উন্নত প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা শাহরুদ মিসাইল সুবিধা পরিচালনা করছে। যেখানে পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরি করা হচ্ছে। আর এই ওয়ারহেড ‘গাহেম-১০০’ ক্ষেপণাস্ত্রে সংযোজন করা হবে, যা গ্রিস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান ইতোমধ্যেই শাহরুদ কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনবার রকেট পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে সরকার এগুলোকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে।

এনসিআরআই-এর দাবি, আইআরজিসি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও উন্নত গাহেম-১০০ রকেট পরীক্ষা করতে চায়।

দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক কেন্দ্রটি সেমনান শহরের দক্ষিণ-পূর্বে ৪৩ মাইল দূরে অবস্থিত। যেখানে ইরান ‘সিমোরগ’ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন করছে, যা উত্তর কোরিয়ার নকশার ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

এনসিআরআই-এর মতে, এই কেন্দ্রের কিছু অংশ মাটির নিচে লুকানো এবং ২০০৫ সাল থেকে এটি সম্প্রসারিত হচ্ছে।

এনসিআরআই আরও দাবি করেছে, ইরান এই কর্মসূচিকে গোপন রাখতে দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এবং খোমেনি স্পেস লঞ্চ টার্মিনাল প্রতিষ্ঠা করেছে।

এনসিআরআই-এর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি সোনা সামসামি বলেছেন, ‘তেহরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দূরে রাখতে এবং তার পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সময় কিনতে চাইছে’।

তিনি আরও বলেন, গত বছর ইসরাইলের আক্রমণে তেহরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। যা পশ্চিমা বিশ্বকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য একটি সুযোগ করে দিয়েছে।

সামসামি মন্তব্য করেছেন, ‘তেহরান বর্তমানে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। ইরানের শাসকগোষ্ঠী এখন তাদের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নে গতি বাড়িয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘এখনই সময় এসেছে এই সরকারকে অভ্যন্তরীণ হত্যাকাণ্ড, আঞ্চলিক যুদ্ধ এবং পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য দায়ী করার’।

সূত্র: এনডিটিভি

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এইচএসসি পরীক্ষা কি পেছাবে?

গোপনে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে ইরান

আপডেট সময় : ১০:১৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইরান গোপনে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে, যা উত্তর কোরিয়ার নকশার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এবং ইউরোপে আঘাত হানতে সক্ষম। এমনটাই দাবি করেছে দেশটির বিরোধী গোষ্ঠী ন্যাশনাল কাউন্সিল অব রেজিস্ট্যান্স অব ইরান (এনসিআরআই)।

গোষ্ঠীটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অস্ত্র দুটি স্থাপনায় তৈরি হচ্ছে। যা মূলত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র হিসেবে ছদ্মবেশে কাজ করছে।

এনসিআরআই-এর মতে, তেহরান এই কেন্দ্রগুলোতে পারমাণবিক কর্মসূচি দ্রুততর করছে।

তাদের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৩,০০০ কিলোমিটারের বেশি (১,৮০০ মাইল) অতিক্রম করতে সক্ষম। যা ইউরোপের বিভিন্ন অংশকে লক্ষ্যে পরিণত করতে পারে।

এনসিআরআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) এবং উন্নত প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা শাহরুদ মিসাইল সুবিধা পরিচালনা করছে। যেখানে পারমাণবিক ওয়ারহেড তৈরি করা হচ্ছে। আর এই ওয়ারহেড ‘গাহেম-১০০’ ক্ষেপণাস্ত্রে সংযোজন করা হবে, যা গ্রিস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারবে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান ইতোমধ্যেই শাহরুদ কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনবার রকেট পরীক্ষা চালিয়েছে। তবে সরকার এগুলোকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হিসেবে উপস্থাপন করেছে।

এনসিআরআই-এর দাবি, আইআরজিসি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও উন্নত গাহেম-১০০ রকেট পরীক্ষা করতে চায়।

দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক কেন্দ্রটি সেমনান শহরের দক্ষিণ-পূর্বে ৪৩ মাইল দূরে অবস্থিত। যেখানে ইরান ‘সিমোরগ’ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন করছে, যা উত্তর কোরিয়ার নকশার ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

এনসিআরআই-এর মতে, এই কেন্দ্রের কিছু অংশ মাটির নিচে লুকানো এবং ২০০৫ সাল থেকে এটি সম্প্রসারিত হচ্ছে।

এনসিআরআই আরও দাবি করেছে, ইরান এই কর্মসূচিকে গোপন রাখতে দেশটির মহাকাশ কর্মসূচির সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এবং খোমেনি স্পেস লঞ্চ টার্মিনাল প্রতিষ্ঠা করেছে।

এনসিআরআই-এর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি সোনা সামসামি বলেছেন, ‘তেহরান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দূরে রাখতে এবং তার পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য সময় কিনতে চাইছে’।

তিনি আরও বলেন, গত বছর ইসরাইলের আক্রমণে তেহরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। যা পশ্চিমা বিশ্বকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করার জন্য একটি সুযোগ করে দিয়েছে।

সামসামি মন্তব্য করেছেন, ‘তেহরান বর্তমানে সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। ইরানের শাসকগোষ্ঠী এখন তাদের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নে গতি বাড়িয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘এখনই সময় এসেছে এই সরকারকে অভ্যন্তরীণ হত্যাকাণ্ড, আঞ্চলিক যুদ্ধ এবং পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য দায়ী করার’।

সূত্র: এনডিটিভি

কেকে