ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় কমিটি হচ্ছে : আইন উপদেষ্টা ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলের মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট সেপ্টেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে : গভর্নর বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হওয়ার জন্য দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা নতুন চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় ইরান মনপুরায় ভিজিএফ চাউলের চুরি ধরা পরায় সাংবাদিকদের হুমকি ওয়ার্ড মেম্বারের

সিরিয়ায় ইরানের বিমান চলাচল স্থগিত

ছবিঃ সংগৃহীত

ইরান ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সিরিয়ায় বিমান চলাচল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এ ঘোষণা এসেছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-আরাবিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের প্রধান হোসেইন পুরফারজান জানিয়েছেন, যে কোনো দেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি প্রয়োজন। বর্তমানে সিরিয়ায় বিমান চলাচল ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে ইরান কখন থেকে এই স্থগিতাদেশ কার্যকর করেছে, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।

এই সিদ্ধান্তটি বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর আসে। চলতি মাসের শুরুর দিকে, হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে একটি অভিযানে আসাদ সরকারের পতন ঘটে এবং তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। সিরিয়া দখল হওয়ার পর হাজার হাজার ইরানি দেশটি ছেড়ে চলে গেছেন এবং দামেস্কে ইরানি দূতাবাসেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সিরিয়ার নতুন শাসক এবং এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারা ইরানের সমালোচনা করে আসছিলেন, যেহেতু ইরান দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আসাদ সরকারকে সামরিক সহায়তা এবং উপদেষ্টা সরবরাহ করছিল।

এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে কোনো সরাসরি যোগাযোগ রাখছে না এবং ইরানিদের সিরিয়া ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

এছাড়া, ২২ ডিসেম্বর একটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, সিরিয়ার আকাশপথে ইরানের সামরিক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে, যার পর ইরান সিরিয়ায় বিমান চলাচল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এটি সিরিয়া ও ইরানের সম্পর্কের মধ্যে একটি নতুন মোড় এবং শাসন পরিবর্তনের ফলে বৈদেশিক নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

সিরিয়ায় ইরানের বিমান চলাচল স্থগিত

আপডেট সময় : ১১:২৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ইরান ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সিরিয়ায় বিমান চলাচল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর এ ঘোষণা এসেছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল-আরাবিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইরানের সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের প্রধান হোসেইন পুরফারজান জানিয়েছেন, যে কোনো দেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি প্রয়োজন। বর্তমানে সিরিয়ায় বিমান চলাচল ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তবে ইরান কখন থেকে এই স্থগিতাদেশ কার্যকর করেছে, তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।

এই সিদ্ধান্তটি বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর আসে। চলতি মাসের শুরুর দিকে, হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) নেতৃত্বে একটি অভিযানে আসাদ সরকারের পতন ঘটে এবং তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেন। সিরিয়া দখল হওয়ার পর হাজার হাজার ইরানি দেশটি ছেড়ে চলে গেছেন এবং দামেস্কে ইরানি দূতাবাসেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সিরিয়ার নতুন শাসক এবং এইচটিএস নেতা আহমেদ আল-শারা ইরানের সমালোচনা করে আসছিলেন, যেহেতু ইরান দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আসাদ সরকারকে সামরিক সহায়তা এবং উপদেষ্টা সরবরাহ করছিল।

এদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে কোনো সরাসরি যোগাযোগ রাখছে না এবং ইরানিদের সিরিয়া ভ্রমণের বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

এছাড়া, ২২ ডিসেম্বর একটি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জানায়, সিরিয়ার আকাশপথে ইরানের সামরিক এবং বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে, যার পর ইরান সিরিয়ায় বিমান চলাচল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এটি সিরিয়া ও ইরানের সম্পর্কের মধ্যে একটি নতুন মোড় এবং শাসন পরিবর্তনের ফলে বৈদেশিক নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করছে।

কেকে