আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়ে বিশ্ব ইজতেমা পালন করার ঘোষণা দিয়েছে আলমি শুরার সদস্যরা। সাদপন্থিরা ইজতেমা করতে চাইলে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলনে আলমি শুরার মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, গতকাল বুধবার সংঘর্ষে তাদের তিনজন সাথি মারা গেছেন। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে।
হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, মাওলানা সাদের অনুসারীরা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করেছে। সাদপন্থিরা যদি ইজতেমা মাঠ দখলের চেষ্টা করে তাহলে সাধারণ মুসল্লিরা তাদের প্রতিহত করবে। ইজতেমায় সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
এ বিভক্তির সমাধান কোন পথে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাওলানা সাদ তার মতবাদ থেকে ফিরে এসে ক্ষমা চাইলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার তারিখ চূড়ান্ত হয়। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি আলমি শুরার অধীনে হবে এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি সাদপন্থিদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বুধবার ভোর রাতে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমার মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে মুসল্লিদের দুপক্ষের হামলা-সংঘর্ষে প্রাণ যায় চারজনের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক।
জানা গেছে, ইজতেমা ময়দান দখল কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও সাদপন্থি সমর্থকদের মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। মঙ্গলবার রাত ৩টা থেকে ইজতেমা মাঠ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে উভয়পক্ষ। এতে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়।
এদিকে ঘটনার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে যে কোনো ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান ও আশপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন রয়েছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞার মুখে দুপক্ষের মুসল্লিরা পুলিশি পাহারায় ইজতেমা মাঠ ছেড়ে দিয়েছেন। বিরাজমান পরিস্থিতিতে চলতি বছর বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
কেকে