ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

বাংলাদেশে শান্তি অত্যন্ত জরুরি, এটা যেন মনে রাখি: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আজকের দিন আমরা প্রতিদিন স্মরণ করি। আমরা দেশে শান্তি চাই, যাতে মানুষ নিজ মনে নিজের আগ্রহে চলতে পারে। কারো ভয়ে, ভীত হয়ে তাকে চলতে না হয়। আমরা সবাই সবার মঙ্গল কামনা করি। আমরা জাতির জন্য শান্তি চাই এবং সারা পৃথিবীর জন্য শান্তি চাই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিন আপন করে নেওয়ার দিন। আমরা সেই বাণী আমাদের মনে ধারণ করে প্রত্যেকেই যেন পরস্পরকে ধারণ করি, যত রকম দূরত্ব ছিল, সেই দূরত্ব থেকে আমরা সরে আসতে পারি। এতেই সমাজের মঙ্গল।

সোমবার বিকালে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদের বাণী হচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা, অতীতকে পেছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। সমাজে এরকম একটা দিন আমরা স্থির করতে পেরেছি, আমাদের দিয়েছে, এটাই আমাদের জন্য একটা মস্তবড় আশীর্বাদ

ড. ইউনূস বলেন, আজকে ঈদের দিন আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমার অবস্থা এমন, কারও সঙ্গে দেখা করা কঠিন বিষয়। কাজেই আজকে এতজনের সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য পেয়ে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমরা আজকে ঈদের মহাউৎসব পালন করেছি। ঈদের বাণী হচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা, অতীতকে পেছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, সমাজে এরকম একটা দিন আমরা স্থির করতে পেরেছি, আমাদের দিয়েছে, এটাই আমাদের জন্য একটা মস্তবড় আশীর্বাদ। একটা দিন! এটা যেমন তেমন দিন না, যেমন তেমনভাবে দেখা করলে হয় না, কোলাকুলি করতে হয়। এটাই ধর্মের বিধান। আমরা কোলাকুলি করে সবাইকে আপন করে নেই।

তিনি বলেন, সমাজের মঙ্গল যেন আমরা আগ্রহ সহকারে নিজেদের মধ্যে আত্মস্থ করতে পারি। সেজন্য এবারের ঈদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা পরস্পরের কাছে আসি, পরস্পরের দূরত্ব থেকে আমরা সরে আসতে পারি, চারিদিকে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। কারণ ঐক্যবদ্ধ হওয়া আমাদের জন্য, এই সময়ের জন্য বিশেষভাবে জরুরি। সেটা যেন আমরা অর্জন করতে পারি। আজকের মিলনমেলায় সেই বাণী আত্মস্থ করে সামনের পথে অগ্রসর হবো, পরস্পরের প্রতি সহনশীল হবো, তার চাইতেও বেশি আমরা পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করবো। এর মাধ্যমেই সমাজে শান্তি আসে। বাংলাদেশে শান্তি অত্যন্ত জরুরি। সেই কথা যেন আমরা মনে রাখি।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

বাংলাদেশে শান্তি অত্যন্ত জরুরি, এটা যেন মনে রাখি: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আজকের দিন আমরা প্রতিদিন স্মরণ করি। আমরা দেশে শান্তি চাই, যাতে মানুষ নিজ মনে নিজের আগ্রহে চলতে পারে। কারো ভয়ে, ভীত হয়ে তাকে চলতে না হয়। আমরা সবাই সবার মঙ্গল কামনা করি। আমরা জাতির জন্য শান্তি চাই এবং সারা পৃথিবীর জন্য শান্তি চাই।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিন আপন করে নেওয়ার দিন। আমরা সেই বাণী আমাদের মনে ধারণ করে প্রত্যেকেই যেন পরস্পরকে ধারণ করি, যত রকম দূরত্ব ছিল, সেই দূরত্ব থেকে আমরা সরে আসতে পারি। এতেই সমাজের মঙ্গল।

সোমবার বিকালে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঈদের বাণী হচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা, অতীতকে পেছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। সমাজে এরকম একটা দিন আমরা স্থির করতে পেরেছি, আমাদের দিয়েছে, এটাই আমাদের জন্য একটা মস্তবড় আশীর্বাদ

ড. ইউনূস বলেন, আজকে ঈদের দিন আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমার অবস্থা এমন, কারও সঙ্গে দেখা করা কঠিন বিষয়। কাজেই আজকে এতজনের সঙ্গে দেখা করার সৌভাগ্য পেয়ে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমরা আজকে ঈদের মহাউৎসব পালন করেছি। ঈদের বাণী হচ্ছে নিজেদের মধ্যে সমঝোতা, অতীতকে পেছনে রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া, সমাজে এরকম একটা দিন আমরা স্থির করতে পেরেছি, আমাদের দিয়েছে, এটাই আমাদের জন্য একটা মস্তবড় আশীর্বাদ। একটা দিন! এটা যেমন তেমন দিন না, যেমন তেমনভাবে দেখা করলে হয় না, কোলাকুলি করতে হয়। এটাই ধর্মের বিধান। আমরা কোলাকুলি করে সবাইকে আপন করে নেই।

তিনি বলেন, সমাজের মঙ্গল যেন আমরা আগ্রহ সহকারে নিজেদের মধ্যে আত্মস্থ করতে পারি। সেজন্য এবারের ঈদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আমরা পরস্পরের কাছে আসি, পরস্পরের দূরত্ব থেকে আমরা সরে আসতে পারি, চারিদিকে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। কারণ ঐক্যবদ্ধ হওয়া আমাদের জন্য, এই সময়ের জন্য বিশেষভাবে জরুরি। সেটা যেন আমরা অর্জন করতে পারি। আজকের মিলনমেলায় সেই বাণী আত্মস্থ করে সামনের পথে অগ্রসর হবো, পরস্পরের প্রতি সহনশীল হবো, তার চাইতেও বেশি আমরা পরস্পরের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করবো। এর মাধ্যমেই সমাজে শান্তি আসে। বাংলাদেশে শান্তি অত্যন্ত জরুরি। সেই কথা যেন আমরা মনে রাখি।

কেকে