ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুল চিকিৎসায় পঙ্গুত্ব, জয়পুরহাটে অর্থোপেডিক্স ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী রোগীর সংবাদ সম্মেলন

ছবি : সংগৃহীত

গোলাম রব্বানী, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটে অর্থোপেডিক চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের ভুল চিকিৎসার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী রোগী। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে অভিযোগ তুলেছেন সদর উপজেলার দোগাছি বোর্ডঘর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আবু হায়াত।

সংবাদ সম্মেলনে আবু হায়াত জানান, দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেলে তিনি চিকিৎসার জন্য ডা. আতাউল হকের শরণাপন্ন হন। ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জয়পুরহাট শহরের একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা নিলেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি; বরং ক্ষতস্থানে পচন ধরে হাড় পর্যন্ত ঘা হয়ে যায়।

আবু হায়াত অভিযোগ করেন, অবস্থা গুরুতর হলেও ডা. আতাউল হক নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যান, কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হলে তিনি রোগীকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে বলেন। ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিজের সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য হন আবু হায়াত। তবুও তিনি সুস্থ হননি, বরং ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডাক্তার আতাউল হকের ভুল চিকিৎসার কারণে আমি আজ নিঃস্ব, সহায়-সম্বলহীন এবং পঙ্গু হতে চলেছি। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ভুল চিকিৎসায় পঙ্গুত্ব, জয়পুরহাটে অর্থোপেডিক্স ডাক্তারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী রোগীর সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৯:২০:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

গোলাম রব্বানী, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটে অর্থোপেডিক চিকিৎসক ডা. আতাউল হকের ভুল চিকিৎসার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী রোগী। শুক্রবার (১৪ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে অভিযোগ তুলেছেন সদর উপজেলার দোগাছি বোর্ডঘর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আবু হায়াত।

সংবাদ সম্মেলনে আবু হায়াত জানান, দুর্ঘটনায় তার ডান পায়ের হাড় ভেঙে গেলে তিনি চিকিৎসার জন্য ডা. আতাউল হকের শরণাপন্ন হন। ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর জয়পুরহাট শহরের একটি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা দিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা নিলেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি; বরং ক্ষতস্থানে পচন ধরে হাড় পর্যন্ত ঘা হয়ে যায়।

আবু হায়াত অভিযোগ করেন, অবস্থা গুরুতর হলেও ডা. আতাউল হক নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যান, কিন্তু অবস্থার আরও অবনতি হলে তিনি রোগীকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে বলেন। ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিজের সহায়-সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য হন আবু হায়াত। তবুও তিনি সুস্থ হননি, বরং ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ডাক্তার আতাউল হকের ভুল চিকিৎসার কারণে আমি আজ নিঃস্ব, সহায়-সম্বলহীন এবং পঙ্গু হতে চলেছি। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

এমএস