ঢাকা ০৭:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের দাপট রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার বিপদ কেটে গেলে মানুষ অহংকারী হয়ে যায় : নুরুল হক শান্তিরক্ষী মিশনে আরও নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার নাটোরে শিশু জুঁই হত্যার দায়ে ৫ কিশোর গ্রেফতার বাংলাদের অভ্যন্তরে নানাভাবে ষড়যন্ত্রের প্রচেষ্টা চলছে- নাটোরে রুহুল কবির রিজভী র‍্যাবের-১২ এর অভিযানে ভেড়ামারা থেকে ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী আটক বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত নাটোরে শয়নকক্ষ থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

ড. শামসুজ্জোহার শাহাদাত দিবসকে শিক্ষক দিবস করার দাবি ছাত্রদলের

ছবি : সংগৃহীত

রাবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দ্বারা প্রথম শহীদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহার শাহাদাত দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস করার দাবি করেছে রাবি শাখা ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে শহীদ ড. শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে এ দাবি করেন তারা।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বিএনপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, “১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনে নিহত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। তিনিই দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। এর পর থেকে দিনটি রাবিতে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের স্বনামধন্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বৈজ্ঞানিক এবং সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।”

তিনি আরো বলেন, “১৯৭১ সালে আমরা জাতির বরেণ্য ব্যক্তিদের হারিয়েছি। আমরা জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আজ সবাই মিলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আমরা শহীদ ড. জোহা সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।”

সভাপতির বক্তব্যে সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলি থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে ১৯৬৯ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি নিজের বুক পেতে দেন শহীদ শামসুজ্জোহা স্যার। পৃথিবীর ইতিহাসে ছাত্রদের জন্য কোনো শিক্ষকের এভাবে জীবন দেওয়ার ঘটনা বিরল। জোহা স্যারের মৃত্যুর ৫৫ বছর অতিক্রম হলেও এ দিবসটিকে জাতীয়করণ করা হয়নি। রাবি ছাত্রদল দিবসটিকে জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা দাবিসহ আগামীতে বিএনপি জনগণের সর্মথনে দেশ পরিচালনা দায়িত্ব নিয়ে গণঅভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষায় দেশের বীর সূর্য সন্তানরা জীবন উৎসর্গ করেছে সে উদ্দেশ্য চেতনা ছাত্রদল ধারণ করে আগামী বাংলাদেশ গড়বে।

তিনি আরো বলেন, “বিএনপি রাষ্ট্রমেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সুন্দর শান্তির বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ। ছাত্রদের অধিকার আদায় রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের শহীদ ড. জোহা স্যার শাহাদাৎ বরন করেছেন। তাই ছাত্রদের অধিকার আদায়ে সব সময় ছাত্রদল সামনে থাকবে। আমরা ড. জোহা স্যারের মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।”

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ড.মো. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড.মো: আব্দুল আলীম, প্রফেসর ড. মো.জাহাঙ্গীর আলম বাবুসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য-সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সর্দার জহুরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান খান, বুলবুল রহমান, মারুফ হোসেন, মাহমুদুল মিঠু, আবির হাসান হিমেল, আবু সাইদসহ বিভিন্ন হল ও অনুষদের নেতৃবৃন্দ।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেট টেস্টের প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের দাপট

ড. শামসুজ্জোহার শাহাদাত দিবসকে শিক্ষক দিবস করার দাবি ছাত্রদলের

আপডেট সময় : ০৩:৩৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাবি প্রতিনিধি:

বাংলাদেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পাকিস্তান হানাদার বাহিনী দ্বারা প্রথম শহীদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শামসুজ্জোহার শাহাদাত দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস করার দাবি করেছে রাবি শাখা ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে শহীদ ড. শামসুজ্জোহার কবর জিয়ারত, শ্রদ্ধা নিবেদন, পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে এ দাবি করেন তারা।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক বিএনপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, “১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনে নিহত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা। তিনিই দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। এর পর থেকে দিনটি রাবিতে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের স্বনামধন্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বৈজ্ঞানিক এবং সুশীল সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।”

তিনি আরো বলেন, “১৯৭১ সালে আমরা জাতির বরেণ্য ব্যক্তিদের হারিয়েছি। আমরা জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আজ সবাই মিলে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি। আমরা শহীদ ড. জোহা সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।”

সভাপতির বক্তব্যে সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলি থেকে শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে ১৯৬৯ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি নিজের বুক পেতে দেন শহীদ শামসুজ্জোহা স্যার। পৃথিবীর ইতিহাসে ছাত্রদের জন্য কোনো শিক্ষকের এভাবে জীবন দেওয়ার ঘটনা বিরল। জোহা স্যারের মৃত্যুর ৫৫ বছর অতিক্রম হলেও এ দিবসটিকে জাতীয়করণ করা হয়নি। রাবি ছাত্রদল দিবসটিকে জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণা দাবিসহ আগামীতে বিএনপি জনগণের সর্মথনে দেশ পরিচালনা দায়িত্ব নিয়ে গণঅভ্যুত্থান যে আকাঙ্ক্ষায় দেশের বীর সূর্য সন্তানরা জীবন উৎসর্গ করেছে সে উদ্দেশ্য চেতনা ছাত্রদল ধারণ করে আগামী বাংলাদেশ গড়বে।

তিনি আরো বলেন, “বিএনপি রাষ্ট্রমেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা সুন্দর শান্তির বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ। ছাত্রদের অধিকার আদায় রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের শহীদ ড. জোহা স্যার শাহাদাৎ বরন করেছেন। তাই ছাত্রদের অধিকার আদায়ে সব সময় ছাত্রদল সামনে থাকবে। আমরা ড. জোহা স্যারের মাগফেরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ তায়ালা জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।”

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রফেসর ড.মো. হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ড.মো: আব্দুল আলীম, প্রফেসর ড. মো.জাহাঙ্গীর আলম বাবুসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও রাজশাহী মহানগর যুবদলের সদস্য-সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সর্দার জহুরুল ইসলাম, মেহেদী হাসান খান, বুলবুল রহমান, মারুফ হোসেন, মাহমুদুল মিঠু, আবির হাসান হিমেল, আবু সাইদসহ বিভিন্ন হল ও অনুষদের নেতৃবৃন্দ।

এমএস