দুই দিন আগেই খবরটি সবার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল, অপেক্ষা ছিল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। অবশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সেই ঘোষণাটিও বিবৃতি আকারে দিয়ে দিল। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের বোলিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিসিবি নিশ্চিত করেছে যে ইংল্যান্ডের ল্যাবে ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন শনাক্তের পর ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার।
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) আওতাধীন প্রতিযোগিতায় বোলিং থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটসহ বাংলাদেশের বাইরে অন্যান্য ঘরোয়া লিগেও তিনি বোলিং করতে পারবেন না। আইসিসি স্বীকৃত একটি টেস্টিং সেন্টারে সাকিবের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আইসিসির অবৈধ বোলিং অ্যাকশন সংক্রান্ত নিয়মের ১১.৩ ধারা অনুযায়ী, কোনো জাতীয় ক্রিকেট সংস্থা যদি ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় কোনো খেলোয়াড়কে বোলিং নিষিদ্ধ করে, সেই নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আন্তর্জাতিক এবং অন্যান্য দেশের ঘরোয়া প্রতিযোগিতাতেও কার্যকর হয়।
তবে, নিয়মের ১১.৪ ধারা অনুসারে, সাকিব আইসিসি স্বীকৃত টেস্টিং সেন্টারে পুনরায় পরীক্ষা দিতে পারবেন। তার বোলিং অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হলে তিনি আবার আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং করার অনুমতি পাবেন।
বোলিং নিষেধাজ্ঞার পরেও সাকিব ব্যাটার হিসেবে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া সব ধরনের ক্রিকেটে অংশ নিতে পারবেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, সাকিব শিগগিরই পুনর্মূল্যায়নের জন্য পরীক্ষা দেবেন, যাতে তার বোলিং অ্যাকশন বৈধ প্রমাণিত হয়।
বিসিবি বিষয়টি নিয়ে ইসিবি, আইসিসি এবং সাকিবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তবে বিসিবি এই মুহূর্তে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছে।
কেকে