ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

ডায়াবেটিস রোগী কি খেতে পারবে মিষ্টিকুমড়া?

ছবিঃ সংগৃহীত

গরম ভাতের সঙ্গে মিষ্টিকুমড়া সিদ্ধ, ভাজা, ছক্কা বা তরকারি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। স্বাদে মিষ্টি এ সবজিতে রয়েছে অনেক গুণ। তবে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এ সবজি খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের সংক্রমণ, স্নায়ুর ক্ষতি এবং হৃদরোগের মতো আরও গুরুতর জটিলতা প্রতিরোধ করতে রক্তে শর্করা গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এখন জানতে হবে কুমড়াতে কি পরিমাণ শর্করা থাকে?

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই হলো মানদণ্ড, যা নির্দেশ করে কোন খাবারের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। জিএল হলো গ্লাইসেমিক লোড, যা গ্লাইসেমিক সূচক পরিমাপ করে। মূলত গ্লাইসেমিক লোড হলো একটি নির্দিষ্ট খাদ্য, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা প্রভাবিত করতে পারে তা মূল্যায়ন করে।

এদিকে, কুমড়ার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭৫, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। কিন্তু এই সবজির গ্লাইসেমিক লোড ৩-এর কম। এটির উচ্চ জিএলের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খারাপ।

তবে সুষম ডায়েটে কুমড়ার ছোট একটি টুকরো বা কোনো তরকারি রাখতে পারেন। এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা মারাত্মকভাবে বাড়াবে না।

এছাড়া, কুমড়াতে পলিস্যাকারাইড নামক কার্বোহাইড্রেট এবং পিউয়েরিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

যদিও কুমড়াতে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। তারা চাইলে অল্প পরিমাণে কুমড়া খেতে পারে।

পাকা কুমড়ার তুলনায় কাঁচা সবুজ কুমড়াতে মিষ্টত্ব এবং শর্করার পরিমাণ কম। তাই কুমড়া খেতে চাইলে কাঁচা কুমড়ার তরকারি খেতে পারেন।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

ডায়াবেটিস রোগী কি খেতে পারবে মিষ্টিকুমড়া?

আপডেট সময় : ০৯:৫১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

গরম ভাতের সঙ্গে মিষ্টিকুমড়া সিদ্ধ, ভাজা, ছক্কা বা তরকারি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। স্বাদে মিষ্টি এ সবজিতে রয়েছে অনেক গুণ। তবে এখন প্রশ্ন জাগতে পারে ডায়াবেটিস বা ব্লাড সুগারে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এ সবজি খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা দৃষ্টিশক্তি, ত্বকের সংক্রমণ, স্নায়ুর ক্ষতি এবং হৃদরোগের মতো আরও গুরুতর জটিলতা প্রতিরোধ করতে রক্তে শর্করা গ্রহণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এখন জানতে হবে কুমড়াতে কি পরিমাণ শর্করা থাকে?

গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই হলো মানদণ্ড, যা নির্দেশ করে কোন খাবারের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। জিএল হলো গ্লাইসেমিক লোড, যা গ্লাইসেমিক সূচক পরিমাপ করে। মূলত গ্লাইসেমিক লোড হলো একটি নির্দিষ্ট খাদ্য, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা প্রভাবিত করতে পারে তা মূল্যায়ন করে।

এদিকে, কুমড়ার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ৭৫, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। কিন্তু এই সবজির গ্লাইসেমিক লোড ৩-এর কম। এটির উচ্চ জিএলের কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খারাপ।

তবে সুষম ডায়েটে কুমড়ার ছোট একটি টুকরো বা কোনো তরকারি রাখতে পারেন। এটি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা মারাত্মকভাবে বাড়াবে না।

এছাড়া, কুমড়াতে পলিস্যাকারাইড নামক কার্বোহাইড্রেট এবং পিউয়েরিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে এবং ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

যদিও কুমড়াতে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। তারা চাইলে অল্প পরিমাণে কুমড়া খেতে পারে।

পাকা কুমড়ার তুলনায় কাঁচা সবুজ কুমড়াতে মিষ্টত্ব এবং শর্করার পরিমাণ কম। তাই কুমড়া খেতে চাইলে কাঁচা কুমড়ার তরকারি খেতে পারেন।

কেকে