ঢাকা ০২:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

৫ আগস্ট উদ্বোধন হচ্ছে না গণভবনের জাদুঘর

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনের জমিতে হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’। আগামী ৫ আগস্ট জাদুঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ কর্তৃপক্ষের কিউরেটর তানজিব ওয়াহাব কালবেলাকে বলেন, গণভবনে জাদুঘর আগামী ৫ আগস্ট উদ্বোধন করার কথা ছিল; কিন্তু তা হচ্ছে না। নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় উদ্বোধন করা যাচ্ছে না।

একজন নির্বাহী প্রকৌশলী কালবেলাকে বলেন, ঠিকমতো অর্থ ছাড় করা হলেও সিভিল ও ইএম (ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল) নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ৫ আগস্ট জাদুঘর উদ্বোধন করা হচ্ছে না। এখনো কাজ চলছে। বলা হচ্ছে, কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশের মতো।

জানা গেছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত গণভবনের ১৭ দশমিক ৬৮ একর জমি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গত সপ্তাহে তেজগাঁও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে জমির লিজ দলিল সম্পন্ন হয়। জমির মালিকানা হস্তান্তর সম্পর্কিত দলিলে দাতা হিসেবে স্বাক্ষর করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং গ্রহীতা হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। জমিটি বিনামূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রতি বছর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে ৩ হাজার টাকা খাজনা দিতে হবে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া জমি হস্তান্তর বা স্থাপনায় পরিবর্তন আনা যাবে না।

আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জাদুঘরের রূপান্তর কার্যক্রম শেষ করতে যে ধরনের নির্মাণ বা সংস্কারকাজ করতে হবে, সেই কাজ হবে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে, অর্থাৎ দরপত্র ডাকা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৫ জুলাই সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কালবেলাকে জানান, দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জাদুঘরের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সরকার সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে জাদুঘর নির্মাণ ও উন্নয়নে ১১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ইএমের ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪০ কোটি ৮৩ টাকা। ইএমের কাজ করছে শুভ্রা ট্রেডার্স। পূর্ত অংশের কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। সেজন্য ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকারিভাবে জাদুঘর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হলেও চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন পেতে বিলম্ব হয়। অবশেষে ৮ জুলাই নকশা অনুমোদন হলে দ্রুত কাজ এগিয়ে নিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়। তারপর কাজ দ্রুত করতে বলা হলেও ঘোষিত সময়ে জাদুঘর উদ্বোধন করা সম্ভব হচ্ছে না।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (ইএম) ড. মো. আশরাফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, সিভিলের সঙ্গে সমান তালে ইএম কাজ চলছে। সিভিলে যে পরিমাণ কাজ হয়েছে ইএমেও সেই পরিমাণে কাজ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ১৫৫

৫ আগস্ট উদ্বোধন হচ্ছে না গণভবনের জাদুঘর

আপডেট সময় : ১১:২১:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধরে রাখতে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনের জমিতে হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’। আগামী ৫ আগস্ট জাদুঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ কর্তৃপক্ষের কিউরেটর তানজিব ওয়াহাব কালবেলাকে বলেন, গণভবনে জাদুঘর আগামী ৫ আগস্ট উদ্বোধন করার কথা ছিল; কিন্তু তা হচ্ছে না। নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় উদ্বোধন করা যাচ্ছে না।

একজন নির্বাহী প্রকৌশলী কালবেলাকে বলেন, ঠিকমতো অর্থ ছাড় করা হলেও সিভিল ও ইএম (ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল) নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় ৫ আগস্ট জাদুঘর উদ্বোধন করা হচ্ছে না। এখনো কাজ চলছে। বলা হচ্ছে, কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশের মতো।

জানা গেছে, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত গণভবনের ১৭ দশমিক ৬৮ একর জমি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গত সপ্তাহে তেজগাঁও সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে জমির লিজ দলিল সম্পন্ন হয়। জমির মালিকানা হস্তান্তর সম্পর্কিত দলিলে দাতা হিসেবে স্বাক্ষর করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং গ্রহীতা হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। জমিটি বিনামূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রতি বছর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে ৩ হাজার টাকা খাজনা দিতে হবে। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া জমি হস্তান্তর বা স্থাপনায় পরিবর্তন আনা যাবে না।

আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জাদুঘরের রূপান্তর কার্যক্রম শেষ করতে যে ধরনের নির্মাণ বা সংস্কারকাজ করতে হবে, সেই কাজ হবে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে, অর্থাৎ দরপত্র ডাকা হবে না। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে গত ১৫ জুলাই সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কালবেলাকে জানান, দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে জাদুঘরের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সরকার সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে জাদুঘর নির্মাণ ও উন্নয়নে ১১১ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ইএমের ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪০ কোটি ৮৩ টাকা। ইএমের কাজ করছে শুভ্রা ট্রেডার্স। পূর্ত অংশের কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড। সেজন্য ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকারিভাবে জাদুঘর গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হলেও চূড়ান্ত নকশা অনুমোদন পেতে বিলম্ব হয়। অবশেষে ৮ জুলাই নকশা অনুমোদন হলে দ্রুত কাজ এগিয়ে নিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়। তারপর কাজ দ্রুত করতে বলা হলেও ঘোষিত সময়ে জাদুঘর উদ্বোধন করা সম্ভব হচ্ছে না।

জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (ইএম) ড. মো. আশরাফুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, সিভিলের সঙ্গে সমান তালে ইএম কাজ চলছে। সিভিলে যে পরিমাণ কাজ হয়েছে ইএমেও সেই পরিমাণে কাজ হয়েছে। কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক।

কেকে