গণঅভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানের তফসিলে ঘোষণাপত্র যুক্ত হবে এবং সেই সঙ্গে আন্দোলনকারীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়ার হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ শুরু করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে। এ সময় তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয় এবং সরকারি চাকরিতে একচেটিয়া দলীয় নিয়োগ ও কোটাভিত্তিক বৈষম্যের কারণে ছাত্র, চাকরিপ্রত্যাশী ও নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম হয়। এবং বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ওপর চরম নিপীড়নের ফলে দীর্ঘদিন ধরে জনরোষের সৃষ্টি হয় এবং জনগণ সব বৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই চালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হলো।
ঘোষণাপত্রের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য গঠিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
দিবসটি উপলক্ষে রাত ৮টা ২০ মিনিটে দেশের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণটি একযোগে সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বিটিভি নিউজ ও বাংলাদেশ বেতার।
কেকে