ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান নোয়াখালীতে হামলার প্রতিবাদে বাগেরহাট পি.সি. কলেজে কোরআন বিতরণ বাগেরহাটে মাদ্রাসার গভর্নিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হুমকি-ধামকি ও মারধর সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ফিকহ বিভাগে সাফল্যের জোয়ার শরীয়তপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে হেযবুত তাওহীদের মতবিনিময় সভা নলডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ পালিত নাটোরের সিংড়ায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার: অভিযুক্ত রানা পলাতক কুমিল্লায় পিআর পদ্ধতিসহ ৫দফা দাবিতে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ নোবিপ্রবিতে শীঘ্রই হচ্ছে ছাত্রদলের কমিটি, আলোচনায় জুলাই যোদ্ধা হাসিব ঐশ্বরিয়ার প্রথম পারিশ্রমিক কত ছিল?

পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।

পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিবেদন বিগত কমিশন গায়ের জোরে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আবদুল মোমেন বলেন, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা বিষয়টি নতুন করে বিবেচনায় নিই। পর্যালোচনা করে দেখি, মামলাটি অনেকটা জোর করেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের কমিশনের মত হচ্ছে, মামলাটি আবারও সক্রিয় করা প্রয়োজন। সে অনুযায়ী আমরা নতুন করে তদন্ত শুরু করি।

দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বলেন, তদন্ত শুরু করতে আমরা একজন নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিই। তিনি কাজ শুরু করেছেন। যদিও এখনো চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, কাজের জন্য যে মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেটি একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়েছে- যা অসৎ উদ্দেশের ইঙ্গিত দেয় এবং অপরাধপ্রবণ আচরণের প্রমাণ বহন করে।

তিনি বলেন, বড় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায়, একটি জিনিস একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও তা একবার কিনেই বারবার দেখানো হয়। এ প্রকল্পেও এমনটাই ঘটেছে।

দুদক চেয়ারম্যান জানান, কনসালটেন্টদের সিভি যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতে অনিয়মের চিত্র পাওয়া গেছে। মূল্যায়নের বিভিন্ন ধাপে এই বিষয়গুলো ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া মূল্যায়ন কার্যক্রম চলাকালে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার ও তথ্য উদঘাটনের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর পরামর্শ নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। এটা নিয়ে পরবর্তীতে মামলা হয়। মামলার উপাদানগুলো সঠিক থাকার পরই আদালতে এফআইআরটি দাখিল করা হয়। আগের মামলার যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে, তা ত্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, নতুন কর্মকর্তা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত করতে গিয়ে যাদের নাম আসবে, আমরা আমাদের মতো করে দেখব। গাফিলতি পেলে আমরা সেটিকে বিবেচনায় আনব। এখন আমরা তদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা করব।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৮:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলার প্রতিবেদন বিগত কমিশন গায়ের জোরে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।

মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আবদুল মোমেন বলেন, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা বিষয়টি নতুন করে বিবেচনায় নিই। পর্যালোচনা করে দেখি, মামলাটি অনেকটা জোর করেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের কমিশনের মত হচ্ছে, মামলাটি আবারও সক্রিয় করা প্রয়োজন। সে অনুযায়ী আমরা নতুন করে তদন্ত শুরু করি।

দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ সম্পর্কে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান বলেন, তদন্ত শুরু করতে আমরা একজন নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিই। তিনি কাজ শুরু করেছেন। যদিও এখনো চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি, তবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, কাজের জন্য যে মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেটি একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়েছে- যা অসৎ উদ্দেশের ইঙ্গিত দেয় এবং অপরাধপ্রবণ আচরণের প্রমাণ বহন করে।

তিনি বলেন, বড় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায়, একটি জিনিস একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও তা একবার কিনেই বারবার দেখানো হয়। এ প্রকল্পেও এমনটাই ঘটেছে।

দুদক চেয়ারম্যান জানান, কনসালটেন্টদের সিভি যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এতে অনিয়মের চিত্র পাওয়া গেছে। মূল্যায়নের বিভিন্ন ধাপে এই বিষয়গুলো ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া মূল্যায়ন কার্যক্রম চলাকালে কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার ও তথ্য উদঘাটনের প্রয়োজন ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর পরামর্শ নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তি ছিল। এটা নিয়ে পরবর্তীতে মামলা হয়। মামলার উপাদানগুলো সঠিক থাকার পরই আদালতে এফআইআরটি দাখিল করা হয়। আগের মামলার যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে, তা ত্রুটিপূর্ণ ও অসম্পূর্ণ। আমরা বিশ্বাস করি, নতুন কর্মকর্তা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। তদন্ত করতে গিয়ে যাদের নাম আসবে, আমরা আমাদের মতো করে দেখব। গাফিলতি পেলে আমরা সেটিকে বিবেচনায় আনব। এখন আমরা তদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা করব।

কেকে