ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
৫ আগস্ট ঘিরে নাশকতার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে এগোচ্ছে : আলী রীয়াজ কাজে না আসা নীতিমালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে : প্রধান উপদেষ্টা মেহরিন চৌধুরীর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছে বিএনপি এমন কিছু করবেন না, আবার যেন গণতন্ত্র ব্যাহত হয় : মির্জা ফখরুল পিআর দেশের সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় : ড. মঈন খান ইআবি ডিগ্রির স্বীকৃতি না থাকায় শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত: পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা ইনডাকশন পদ্ধতিতে কমবে সিজারিয়ান সেকশন : প্রসূতি বিশেষজ্ঞরা ৪৪তম বিসিএসের প্রার্থীদের পিএসসির জরুরি নির্দেশনা কিছু দল পণ করেছে, পিআর না দিলে নির্বাচনে যাবে না : মির্জা ফখরুল

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা, তেল ও গ্যাস কিনতে চায় বাংলাদেশ

ড. মুহাম্মদ ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর অনেকটাই বিপাকে পড়েছে ঢাকা। যদিও সম্প্রতি আদালত ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিত করে দিয়েছেন। ট্রাম্পের পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি তুলা, তেল ও গ্যাস কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বৃহস্পতিবার নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিক্কেই এশিয়ার সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারটি সংবাদমাধ্যমটির বার্ষিক ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়। ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশের প্রতিটি অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চাইছেন। ইউনূস বলেন, যদি আরও আমেরিকান পণ্য কেনার প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাহলে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে অনুরূপ আমদানি কমিয়ে নেবে।

ড. ইউনূস বলেন, উদাহরণস্বরূপ, আমরা মধ্য এশিয়া থেকে প্রচুর তুলা কিনি। ভারত থেকেও তুলা কিনি। এখন আমরা দেখছি…কেন আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনব না, যাতে (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের) বাণিজ্য ঘাটতি অনেক কমে যায়।

গত জুন মাস পর্যন্ত অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এই আমদানির মধ্যে ৩৬১ মিলিয়ন ডলারের তুলা ছিল। প্রধান পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বছরে ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের কাঁচা তুলা সংগ্রহ করে। যার কিছু অংশ উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের মতো নিকটবর্তী মধ্য এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসে। একই অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট আমদানির সাড়ে ১২ শতাংশ ছিল তুলা।

ইউনূস বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের তুলা উৎপাদকেরা আমাদের খুব ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন, তাহলে তারা হয়তো ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে কিছু রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে সহায়ক হতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার কটন বেল্ট (রাজ্যগুলো) তাদের নিজ নিজ প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেস সদস্য, হাউস (এবং) সিনেটে নির্বাচন করে, তাই তারাও আমাদের সমর্থক হয়ে উঠতে পারেন।

বাংলাদেশ বেশিরভাগ জ্বালানি তেল মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করে। তবে ড. ইউনূস বলেন, এ পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কেনা যেতে পারে। যদিও ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার সময়সীমা এবং সম্ভাব্য শুল্ক কমানোর হার সম্পর্কে নিশ্চিত নন, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা (পরিস্থিতিকে) হুমকি হিসেবে দেখছি না, আমরা এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছি।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত স্থানীয় সময় বুধবার ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর করা বন্ধ করে দিয়েছেন। আদালত রায় দিয়েছেন, সংবিধান কংগ্রেসকে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয় এবং প্রেসিডেন্ট আইন বিভাগকে বাতিল করতে পারেন না।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

৫ আগস্ট ঘিরে নাশকতার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা, তেল ও গ্যাস কিনতে চায় বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১০:৪৭:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর অনেকটাই বিপাকে পড়েছে ঢাকা। যদিও সম্প্রতি আদালত ট্রাম্পের শুল্ক স্থগিত করে দিয়েছেন। ট্রাম্পের পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি তুলা, তেল ও গ্যাস কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ বৃহস্পতিবার নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিক্কেই এশিয়ার সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারটি সংবাদমাধ্যমটির বার্ষিক ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়। ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দেশের প্রতিটি অংশীদারের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চাইছেন। ইউনূস বলেন, যদি আরও আমেরিকান পণ্য কেনার প্রস্তাব গৃহীত হয়, তাহলে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে অনুরূপ আমদানি কমিয়ে নেবে।

ড. ইউনূস বলেন, উদাহরণস্বরূপ, আমরা মধ্য এশিয়া থেকে প্রচুর তুলা কিনি। ভারত থেকেও তুলা কিনি। এখন আমরা দেখছি…কেন আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনব না, যাতে (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের) বাণিজ্য ঘাটতি অনেক কমে যায়।

গত জুন মাস পর্যন্ত অর্থবছরে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। এই আমদানির মধ্যে ৩৬১ মিলিয়ন ডলারের তুলা ছিল। প্রধান পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বছরে ৭ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের কাঁচা তুলা সংগ্রহ করে। যার কিছু অংশ উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের মতো নিকটবর্তী মধ্য এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসে। একই অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট আমদানির সাড়ে ১২ শতাংশ ছিল তুলা।

ইউনূস বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্রের তুলা উৎপাদকেরা আমাদের খুব ভালো বন্ধু হয়ে ওঠেন, তাহলে তারা হয়তো ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে কিছু রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে সহায়ক হতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকার কটন বেল্ট (রাজ্যগুলো) তাদের নিজ নিজ প্রতিনিধি হিসেবে কংগ্রেস সদস্য, হাউস (এবং) সিনেটে নির্বাচন করে, তাই তারাও আমাদের সমর্থক হয়ে উঠতে পারেন।

বাংলাদেশ বেশিরভাগ জ্বালানি তেল মধ্যপ্রাচ্য থেকে আমদানি করে। তবে ড. ইউনূস বলেন, এ পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকেও কেনা যেতে পারে। যদিও ড. ইউনূস যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার সময়সীমা এবং সম্ভাব্য শুল্ক কমানোর হার সম্পর্কে নিশ্চিত নন, তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা (পরিস্থিতিকে) হুমকি হিসেবে দেখছি না, আমরা এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছি।

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালত স্থানীয় সময় বুধবার ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর করা বন্ধ করে দিয়েছেন। আদালত রায় দিয়েছেন, সংবিধান কংগ্রেসকে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয় এবং প্রেসিডেন্ট আইন বিভাগকে বাতিল করতে পারেন না।

কেকে