বান্দরবানের আলীকদমে ফিটনেসবিহীন, নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধ করে উন্নত, নিরাপদ ও টেকসই গণপরিবহন ব্যবস্থা চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় আলীকদম প্রেস ক্লাব চত্বরে মানববন্ধনে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সমাজের সচেতন নাগরিকরা।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অভিযোগ করেন, চকরিয়া-লামা-আলীকদম পরিবহন মালিক সমিতির বাধার কারণে বহু স্বনামধন্য বাস কোম্পানি এই রুটে সেবা দিতে পারছে না। ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাদের দাবি, আধুনিক ও নিরাপদ গণপরিবহন এখন সময়ের দাবি এবং এটি মৌলিক নাগরিক অধিকার।
আলীকদম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক হায়দার আলী বলেন, মানসম্মত বাস সার্ভিস চালুর প্রধান অন্তরায় হচ্ছে স্থানীয় পরিবহন মালিক সমিতির প্রভাব। প্রশাসনের উচিত, এসব অনিয়ম রোধ করে জনস্বার্থে নির্ভরযোগ্য বাস সার্ভিস চালু করা।
চম্পটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জাহানারা ফারভীন লাকী বলেন, আলীকদম আজ উন্নয়ন, পর্যটন ও কৃষিতে অগ্রসর হলেও গণপরিবহনের উন্নয়ন না থাকায় জনগণ প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
আলীকদম উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মাশুক এলাহী সরকারের প্রতি বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালুর আহ্বান জানান।
আলীকদম কলেজের প্রভাষক মো. রেজাউল করিম বলেন, নিরাপদ ও উন্নত গণপরিবহন নাগরিকদের প্রাপ্য অধিকার। এটি নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন ও সরকারের সদিচ্ছা অত্যন্ত প্রয়োজন।
সমাজসেবক মো. জুলকার নাঈন বলেন, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী এমনকি রোগী ও বৃদ্ধরাও দুর্বল যানে যাতায়াতে নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
মানববন্ধনের আয়োজক গ্রীণ ইনোভেশন ভলান্টিয়ার্সের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বন্ধু জানান, সরকারের বিভিন্ন মহলে স্মারকলিপির মাধ্যমে এ দাবি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আলীকদমবাসীর এ ন্যায্য দাবির প্রতি সরকার সহানুভূতির সঙ্গে সাড়া দেবে।
মানববন্ধন শেষে একটি দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি সেনা জোন কমান্ডার, বিজিবি অধিনায়ক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এমএস