ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় কমিটি হচ্ছে : আইন উপদেষ্টা ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলের মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট সেপ্টেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে : গভর্নর বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হওয়ার জন্য দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা নতুন চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় ইরান মনপুরায় ভিজিএফ চাউলের চুরি ধরা পরায় সাংবাদিকদের হুমকি ওয়ার্ড মেম্বারের

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে স্টারলিংক

স্টারলিংক। ছবি : সংগৃহীত

ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। আর দেশীয় এই কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে স্টারলিংকের গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে সহায়তা করছে।

শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী একটি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে। এই সফরের অংশ হিসেবে কোম্পানিগুলো স্টারলিংকের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ।

স্টারলিংক দলের এই সফর বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তাদের আগ্রহের কয়েকটি স্থান জানতে সাহায্য করছে। কিছু স্থানে কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব সম্পত্তি ব্যবহার করে সহায়তা প্রদান করছে। আবার কিছু স্থানে স্টারলিংক হাইটেক পার্কের সম্পত্তি বিবেচনা করছে।

এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, ‘স্থান বরাদ্দ এবং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা চলছে।’

স্টারলিংক লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলা ছাড়াই বাংলাদেশের শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তৈয়ব।

এটি নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চ মানের পরিসেবা নিশ্চিত করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে; তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটি যুক্তিসঙ্গত মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লেখা এক চিঠিতে শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী এবং স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের এবং দেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিসেবা চালু করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

চিঠিতে মাস্ককে তিনি জানান, বাংলাদেশ সফর মাস্ককে তরুণ বাংলাদেশি নারী ও পুরুষদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেবে, যারা এই অগ্রণী প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগীদের মধ্যে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা তার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেসএক্স দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করার জন্য বলেন, যাতে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা টেলিফোনে মাস্কের সাথে ভবিষ্যতের সহযোগিতা অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিসেবা চালু করার জন্য আরও অগ্রগতি সাধনের জন্য একটি বিস্তৃত আলোচনা করেন।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে স্টারলিংক

আপডেট সময় : ০৯:৪৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

ইলন মাস্কের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি। আর দেশীয় এই কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে স্টারলিংকের গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে সহায়তা করছে।

শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মার্কিন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী একটি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছে। এই সফরের অংশ হিসেবে কোম্পানিগুলো স্টারলিংকের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে স্থান বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা এবং চলমান অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ।

স্টারলিংক দলের এই সফর বাংলাদেশি কোম্পানিগুলোকে তাদের আগ্রহের কয়েকটি স্থান জানতে সাহায্য করছে। কিছু স্থানে কোম্পানিগুলো তাদের নিজস্ব সম্পত্তি ব্যবহার করে সহায়তা প্রদান করছে। আবার কিছু স্থানে স্টারলিংক হাইটেক পার্কের সম্পত্তি বিবেচনা করছে।

এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ আহমেদ তৈয়ব বলেন, ‘স্থান বরাদ্দ এবং বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা চলছে।’

স্টারলিংক লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝামেলা ছাড়াই বাংলাদেশের শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং উপকূলীয় অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তৈয়ব।

এটি নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চ মানের পরিসেবা নিশ্চিত করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশে টেলিকম-গ্রেড ফাইবার নেটওয়ার্কের কভারেজ সীমিত এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো লোডশেডিংয়ের সমস্যা রয়েছে; তাই স্টারলিংক আমাদের উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, এনজিও এবং এসএমই ব্যবসায়ীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম এবং ডিজিটাল অর্থনৈতিক উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে স্টারলিংকের সঙ্গে একটি যুক্তিসঙ্গত মডেল বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লেখা এক চিঠিতে শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী এবং স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের এবং দেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট পরিসেবা চালু করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

চিঠিতে মাস্ককে তিনি জানান, বাংলাদেশ সফর মাস্ককে তরুণ বাংলাদেশি নারী ও পুরুষদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেবে, যারা এই অগ্রণী প্রযুক্তির প্রধান সুবিধাভোগীদের মধ্যে থাকবে।

প্রধান উপদেষ্টা তার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানকে স্পেসএক্স দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করার জন্য বলেন, যাতে আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা টেলিফোনে মাস্কের সাথে ভবিষ্যতের সহযোগিতা অন্বেষণ এবং বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিসেবা চালু করার জন্য আরও অগ্রগতি সাধনের জন্য একটি বিস্তৃত আলোচনা করেন।

কেকে