মোঃ সাদেকুল ইসলাম,রুহিয়া প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে নারী দিবসেই মোজাম্মেল হক মানিক নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি আছেন নির্যাতিত সেই শিক্ষার্থী।
শনিবার ৮ মার্চ সকালে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের বোর্ড অফিস মাদারগঞ্জ নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরিবারের অভিযোগ, সদর উপজেলার ৬৩ নং কচুবাড়ী মাদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন মোজাম্মেল হক মানিক। স্কুল বন্ধ থাকলেও তার স্কুলেই শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান তিনি। প্রতিদিনের মতো প্রাইভেটে যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। ওই সময় সুযোগ বুঝে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন মানিক।
স্থানীয়দের দাবি, অভিযুক্তকে বাঁচাতে নানা রকম পাঁয়তারা চলছে। গ্রামের প্রভাবশালী রাজনীতিকরা ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতে ওই শিশুকে সরকারি হাসপাতালে না পাঠিয়ে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে এসেছে। গোপনে এখানে আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্য নিয়ে আসা হলে পরিবারটিকে এখান থেকে উদ্ধার করে সরকারি হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক মোজাম্মেল হক মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘বিদ্যালয় বন্ধ আছে। আমরা কাউকে কোচিং করানোর অনুমতিও দিইনি।
অন্যদিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে একটি শিশুকে আমরা হাসপাতালে গাইনী বিভাগে ভর্তি করি। তার চিকিৎসা দিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। রিপোর্টগুলোর আসার পর আমরা আসলে নিশ্চিত হতে পারবো যে এটি আসলেই ধর্ষণ কি না।
এ বিষয়ে আওলিয়াপুর ইউনিয়াধিন ভূল্লী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার ধর্ষণকারী মোজাম্মেল হক মানিকে গ্রেফতার করে। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
নারী দিবসে এমন নেক্কারজনক ঘটনার কথা শুনে হাসপাতালে পরিদর্শন করতে এসে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, একটা সভ্য সমাজে এ ধরণের আচরণ যারা করতে পারে এরা আসলে মানুষের কাতারে পড়ে না। যে নরপিশাচ এই কাজটি করেছে তাকে দ্রুত আটক করার কাজ চলছে। ধর্ষক ব্যক্তি যে দলেরই হোক না কেন অথবা যত বড়ই নেতা হোক না কেন আমরা রাষ্ট্রের পক্ষে। অন্যায়কারীকে আমরা কেউ প্রশ্রয় দিব না।
এমএস