ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ মুহাম্মদ ডিসেম্বরের আগেও জাতীয় নির্বাচন সম্ভব: আমির খসরু কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইছাআবা ঢাবি শাখা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আড়ংয়ে চাকরির নিয়োগ, এইচএসসি পাশেই আবেদন ‘আমি তো বলিনি সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তিতুমীর কলেজে বর্ষবরণে রাজনৈতিক রঙ, শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপি ছাত্র নেতাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা, আহত ৪ জন, আটক ১ নাটোরের নলডাঙ্গায় ফিলিস্তিনে ইজরায়েল হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মুদি দোকানি কে হত্যা

নারী অধিকার লঙ্ঘনে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: প্রেস উইং

সিএ প্রেস উইং। ছবি : সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে সম্প্রতি মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা বাধা দিয়েছে, তাদের এই কর্মকাণ্ডে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে আসেছ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বলা হয়, ‘কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন। শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সব শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত এক মাসে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলোর মধ্যে একটির আয়োজন করেছে। যার মধ্যে শত শত উপজেলা এবং জেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।

ফিফা প্রধানের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে ড. ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।

সূত্র : বাসস

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ মুহাম্মদ

নারী অধিকার লঙ্ঘনে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে: প্রেস উইং

আপডেট সময় : ১০:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের নারীদের বিভিন্ন বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে কয়েকটি বাধা প্রদানের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে সম্প্রতি মেয়েদের দুটি ফুটবল ম্যাচ পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা বাধা দিয়েছে, তাদের এই কর্মকাণ্ডে নিন্দা জানিয়েছে সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নারীরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং পুরুষদের মতোই সমানভাবে মানবিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করে আসেছ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশি নাগরিকদের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।’

আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বলা হয়, ‘কেউ নারীদের অধিকার লঙ্ঘন করার মতো ঘটনায় সম্পৃক্ত হলে বা এই ধরনের বেআইনি বিধিনিষেধ আরোপের সঙ্গে যুক্ত হলে তিনি বা তারা দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থার মধ্যে পড়বেন।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো গোষ্ঠীর নাগরিকদের প্রতি বৈষম্য বা নিপীড়নের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ইতোমধ্যে দিনাজপুর ও জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনকে স্থগিত ফুটবল ম্যাচ পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

জেলা প্রশাসকরা জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি তাদের জেলায় নারী ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচ আয়োজন করেছেন। শত শত মানুষ ম্যাচগুলো উপভোগ করেছেন এবং তাদের জেলার সব শ্রেণির মানুষ এসব আয়োজনের প্রশংসা করেছেন।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত এক মাসে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের বৃহত্তম যুব উৎসবগুলোর মধ্যে একটির আয়োজন করেছে। যার মধ্যে শত শত উপজেলা এবং জেলা শহরে অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নারী খেলোয়াড়দের জন্য নানা ইভেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল। অনেক প্রত্যন্ত গ্রামীণ জেলায়ও হাজার হাজার মেয়ে ফুটবল, ক্রিকেট এবং কাবাডি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল।

ফিফা প্রধানের বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ইউনূস আজীবন নারী অধিকারের পক্ষের একজন। তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯০ শতাংশেরও বেশি মালিকানা ছিল নারীদের। গত সপ্তাহে ড. ইউনূস ফিফা প্রধান জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে দেখা করেন এবং বাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের জন্য অবকাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা তৈরিতে তার সহায়তা চান।

সূত্র : বাসস

কেকে