ঢাকা ০৩:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমরা বাংলাদেশের জনগণের মহত্ত্ব ভুলব না : ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত চীন পণ্যে ১০৪ শতাংশ শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের ‘দাগি’র বিশেষ প্রদর্শনীতে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলন থেকে বহিষ্কার ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়াতে নতুন কৌশল নেতানিয়াহুর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ফিলিস্তিনে গ’ণ’হ’ত্যার প্রতিবাদে শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া সংস্কৃতির অংশ নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ২০০ ফিলিস্তিনি

ছবিঃ সংগৃহীত

কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। বন্দি বিনিমিয় চুক্তির আওতায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের স্বাগত জানাতে ও বরণ করতে রামাল্লায় অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছেন। তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উঁচিয়ে ধরে রেখেছেন এবং বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। বন্দিদের বহনকারী বহরকে ঘিরে রেখেছেন তারা।

হামাস জানিয়েছে, গাজা থেকে চার ইসরায়েলি সেনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এসব বন্দির তালিকা প্রকাশ করেছে হামাস। তালিকায় দীর্ঘদিন কারাভোগকারী এবং দীর্ঘ সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরাও রয়েছেন।

আল জাজিরার জানিয়েছে, তালিকাভুক্তদের মধ্যে ১২১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৭৯ জন দীর্ঘ মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক বন্দির বয়স ৬৯ এবং সবচেয়ে ছোট বন্দির বয়স ১৫।

এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম দিনে (১৯ জানুয়ারি) তিন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। ওই সময়ে রয়টার্স জানায়, মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি বন্দি সম্প্রতি আটক হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাজা ঘোষণা করা হয়নি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের হাতে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ বন্দি বিনিময় শেষ হবে।

এ চুক্তির ফলে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবেন। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এ ছাড়া, মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আমরা বাংলাদেশের জনগণের মহত্ত্ব ভুলব না : ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত

ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ২০০ ফিলিস্তিনি

আপডেট সময় : ১০:০০:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। বন্দি বিনিমিয় চুক্তির আওতায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের স্বাগত জানাতে ও বরণ করতে রামাল্লায় অসংখ্য মানুষ জড়ো হয়েছেন। তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উঁচিয়ে ধরে রেখেছেন এবং বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। বন্দিদের বহনকারী বহরকে ঘিরে রেখেছেন তারা।

হামাস জানিয়েছে, গাজা থেকে চার ইসরায়েলি সেনাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ২০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এসব বন্দির তালিকা প্রকাশ করেছে হামাস। তালিকায় দীর্ঘদিন কারাভোগকারী এবং দীর্ঘ সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরাও রয়েছেন।

আল জাজিরার জানিয়েছে, তালিকাভুক্তদের মধ্যে ১২১ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৭৯ জন দীর্ঘ মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক বন্দির বয়স ৬৯ এবং সবচেয়ে ছোট বন্দির বয়স ১৫।

এর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম দিনে (১৯ জানুয়ারি) তিন জিম্মির বিনিময়ে ইসরায়েল ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। ওই সময়ে রয়টার্স জানায়, মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি বন্দি সম্প্রতি আটক হয়েছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাজা ঘোষণা করা হয়নি। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে হামাসের হাতে থাকা ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের হাতে আটক কয়েকশ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে এ বন্দি বিনিময় শেষ হবে।

এ চুক্তির ফলে গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবেন। ত্রাণবাহী ট্রাকগুলোকে প্রতিদিন গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এ ছাড়া, মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।

কেকে