ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ধর্মীয় উগ্রবাদের কারণে নয়,সব রাজনৈতিক কারণে: ধর্ম উপদেষ্টা

খালিদ হোসেন (ছবিঃ সংগৃহীত)

ধর্মীয় উগ্রবাদের কারণে দেশে কোনো হামলা হয়নি উল্লেখ করে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বহির্বিশ্ব বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাগুলোর একটিও ধর্মীয় উগ্রবাদের কারণে ঘটেনি, সবগুলোই ঘটেছে রাজনৈতিক কারণে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে কিছু বিক্ষুব্ধ মানুষ এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় ৯৩টি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের তাদের স্ব স্ব ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। যারা এ অধিকার ক্ষুণ্ন করতে চায় তাদেরকে যে কোন মূল্যে আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের।

সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আয়োজিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক, মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সাথে মতবিনিময সভায় ধর্মউপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে অথচ তাদের দেশেই সংখ্যালঘুদের কচুকাটা করা হচ্ছে। তাদের উপাসনালয়ের নিচ থেকে শিবলিঙ্গ আবিষ্কার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সংস্কার শেষ হলে আমরা একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবো। একটি সমাজ গঠনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিনগন যথাযথ ভূমিকা পালন করেন। তারা ভালো না থাকলে সমাজ ভালো থাকবে না। তাই তাদের বেতন কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। দুইটি উৎসব বোনাস প্রদানে ধর্ম মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কাজ করছে। এছাড়া মসজিদের জন্যও নীতিমালা করা হচ্ছে।

জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আসমা আখতারের সভাপতিত্বে ও মাস্টার ট্রেইনার মো. আব্দুল হালিমের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, পুলিশ সুপার মো.আনোয়ার জাহিদ, বোর্ড অব গভর্নরস ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, বোর্ড অব গভর্নরস ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশ্বকোষ বিভাগের পরিচালক মুহা. জাকির হোসাইন প্রমুখ।

এ সময় জেলার দুই শতাধিক মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন উপস্থিত ছিলেন।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ধর্মীয় উগ্রবাদের কারণে নয়,সব রাজনৈতিক কারণে: ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ১০:৩৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

ধর্মীয় উগ্রবাদের কারণে দেশে কোনো হামলা হয়নি উল্লেখ করে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, বহির্বিশ্ব বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনাগুলোর একটিও ধর্মীয় উগ্রবাদের কারণে ঘটেনি, সবগুলোই ঘটেছে রাজনৈতিক কারণে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পরে কিছু বিক্ষুব্ধ মানুষ এসব ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় ৯৩টি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও যারা জড়িত রয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের তাদের স্ব স্ব ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। যারা এ অধিকার ক্ষুণ্ন করতে চায় তাদেরকে যে কোন মূল্যে আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের।

সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আয়োজিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের শিক্ষক, মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সাথে মতবিনিময সভায় ধর্মউপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে অথচ তাদের দেশেই সংখ্যালঘুদের কচুকাটা করা হচ্ছে। তাদের উপাসনালয়ের নিচ থেকে শিবলিঙ্গ আবিষ্কার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সংস্কার শেষ হলে আমরা একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবো। একটি সমাজ গঠনে খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিনগন যথাযথ ভূমিকা পালন করেন। তারা ভালো না থাকলে সমাজ ভালো থাকবে না। তাই তাদের বেতন কাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। দুইটি উৎসব বোনাস প্রদানে ধর্ম মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কাজ করছে। এছাড়া মসজিদের জন্যও নীতিমালা করা হচ্ছে।

জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আসমা আখতারের সভাপতিত্বে ও মাস্টার ট্রেইনার মো. আব্দুল হালিমের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন, পুলিশ সুপার মো.আনোয়ার জাহিদ, বোর্ড অব গভর্নরস ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, বোর্ড অব গভর্নরস ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশ্বকোষ বিভাগের পরিচালক মুহা. জাকির হোসাইন প্রমুখ।

এ সময় জেলার দুই শতাধিক মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন উপস্থিত ছিলেন।

কেকে