ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইছাআবা ঢাবি শাখা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আড়ংয়ে চাকরির নিয়োগ, এইচএসসি পাশেই আবেদন ‘আমি তো বলিনি সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তিতুমীর কলেজে বর্ষবরণে রাজনৈতিক রঙ, শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপি ছাত্র নেতাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা, আহত ৪ জন, আটক ১ নাটোরের নলডাঙ্গায় ফিলিস্তিনে ইজরায়েল হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মুদি দোকানি কে হত্যা জানা গেল ফাজিল অনার্স পরীক্ষা শুরুর তারিখ বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদটা দরকার ছিল: মেলিন্ডা গেটস

গণহত্যার অপরাধে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

ছবিঃ সংগৃহীত

গণহত্যার অপরাধে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এ জন্য তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন ভারতের বেতনভুক্ত কর্মচারী। ক্ষমতায় থাকতে প্রয়োজনে দেশকে বিক্রি করে দিতেও দ্বিধা করতেন না তিনি। শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন তার বিকল্প নেই। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা এতটাই করুণ ছিল যে, তখনকার প্রধানমন্ত্রী ও বায়তুল মোকাররমের খতিব দুজনকেই পালাতে হয়েছে। গণহত্যার অপরাধে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এ জন্য অবশ্যই তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনতে হবে।

তিনি বলেন, হাসিনাসহ পলাতক শক্তি ভারতের মিডিয়াকে ব্যবহার করে দেশবিরোধী কাজ করছে। ভারতে বসে শেখ হাসিনা এ ধরনের কাজ করতে পারা এটাই প্রমাণ করে ভারত জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেশী কোনো দেশের সঙ্গেই তাদের সখ্য নেই। ভারতের প্রতি আওয়ামী লীগের মনোভাব ছিল নীলডাউন পলিসির। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তিগুলো প্রকাশ করতে হবে। এখন থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে চোখে চোখ রেখে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর ভারতের সবচেয়ে বড় পরাজয় হলো ২০২৪-এ বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হওয়া। ভারত বাংলাদেশকে তাদের অষ্টম বোন বিবেচনা করত। ভারত হাউজ অব টেরর, হাউজ অব মাফিয়াতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধীদের আশ্রয় দিয়ে ভারত নিজেদের জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেয়, আমরা ভারতকে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিবেচনা করব।

প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়ে হাসনাত বলেন, যারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে না, তাদের বিকল্প চিন্তা করতে আমরা দুবার ভাবব না। এখন যা হচ্ছে তা হচ্ছে পোস্টিং, এটি আমরা পছন্দ করছি না। আইনের আওতায় না এনে ৬২৬ জনকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভারতে পালানোর জন্য যারা সহায়তা করেছে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা শেখ হাসিনার সময় সবচেয়ে অনিরাপদ ছিলাম। এখন আমাদের শক্তি জনগণ, ছাত্র-জনতা। আমরা ভীত নই, দাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নেমেছি। এক আসিফ, এক হাসনাত মারা গেলে লাখো আসিফ, হাসনাত, সারজিস রাস্তায় আছে। যত আক্রমণ করবেন, হামলা চালাবেন দ্বিগুণ মনোবলে রাস্তায় নামব।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইছাআবা ঢাবি শাখা

গণহত্যার অপরাধে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ

আপডেট সময় : ১১:১৫:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

গণহত্যার অপরাধে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এ জন্য তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিলেন ভারতের বেতনভুক্ত কর্মচারী। ক্ষমতায় থাকতে প্রয়োজনে দেশকে বিক্রি করে দিতেও দ্বিধা করতেন না তিনি। শেখ হাসিনা মনে করেছিলেন তার বিকল্প নেই। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা এতটাই করুণ ছিল যে, তখনকার প্রধানমন্ত্রী ও বায়তুল মোকাররমের খতিব দুজনকেই পালাতে হয়েছে। গণহত্যার অপরাধে শেখ হাসিনাকে অবশ্যই কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। এ জন্য অবশ্যই তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনতে হবে।

তিনি বলেন, হাসিনাসহ পলাতক শক্তি ভারতের মিডিয়াকে ব্যবহার করে দেশবিরোধী কাজ করছে। ভারতে বসে শেখ হাসিনা এ ধরনের কাজ করতে পারা এটাই প্রমাণ করে ভারত জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেশী কোনো দেশের সঙ্গেই তাদের সখ্য নেই। ভারতের প্রতি আওয়ামী লীগের মনোভাব ছিল নীলডাউন পলিসির। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তিগুলো প্রকাশ করতে হবে। এখন থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে চোখে চোখ রেখে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর ভারতের সবচেয়ে বড় পরাজয় হলো ২০২৪-এ বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হওয়া। ভারত বাংলাদেশকে তাদের অষ্টম বোন বিবেচনা করত। ভারত হাউজ অব টেরর, হাউজ অব মাফিয়াতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধীদের আশ্রয় দিয়ে ভারত নিজেদের জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেয়, আমরা ভারতকে জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বিবেচনা করব।

প্রশাসনে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়ে হাসনাত বলেন, যারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবে না, তাদের বিকল্প চিন্তা করতে আমরা দুবার ভাবব না। এখন যা হচ্ছে তা হচ্ছে পোস্টিং, এটি আমরা পছন্দ করছি না। আইনের আওতায় না এনে ৬২৬ জনকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ভারতে পালানোর জন্য যারা সহায়তা করেছে, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা শেখ হাসিনার সময় সবচেয়ে অনিরাপদ ছিলাম। এখন আমাদের শক্তি জনগণ, ছাত্র-জনতা। আমরা ভীত নই, দাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নেমেছি। এক আসিফ, এক হাসনাত মারা গেলে লাখো আসিফ, হাসনাত, সারজিস রাস্তায় আছে। যত আক্রমণ করবেন, হামলা চালাবেন দ্বিগুণ মনোবলে রাস্তায় নামব।

কেকে