ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ড্রাইভিং ট্রেনিং শুরু ঢাকা আলিয়ায় আলিম পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া ও দিকনির্দেশনার অনন্য আয়োজন তারেক রহমানের ফেরা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে : আমীর খসরু শহীদদের দলীয়করণ করলে তাদের অবমূল্যায়ন করা হবে : ডা. জাহিদ সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: সিইসি ঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা সিদ্ধান্ত ইসির : প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংক থেকে ৫০ কোটি ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ ইউআইইউর ২২ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান ছিলাম, এখন আশ্বস্ত হয়েছি : মির্জা ফখরুল

জাতীয় দিবস বাতিল ও জাতির পিতা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে জাসদ

ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি আজ ১৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রদত্ত বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবস হিসাবে প্রদত্ত স্বীকৃতি ও মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং একজন উপদেষ্টা কর্তৃক ‘সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসাবে মানে করে না’ বলে প্রদত্ত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্ত ও একজন উপদেষ্টার এই বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টার ‘রিসেট বাটন পুশ করায় অতীত মুছে গেছে’ সম্বলিত বিতর্কিত বক্তব্যকেই সত্য বলে প্রমাণ করলো।

জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির এ বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে বলছে যে, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল ঘটনাই নয়, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক ও অংশ। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ঘটনা শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায়ই না, আধুনিক বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসেও একটি কালো দিন হিসাবে চিন্থিত।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জণের স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান কার্যকর করার ঘটনাও বিশ্বের স্বাধীন দেশগুলির সংবিধান রচনা ও কার্যকর করার ইতিহাসেও একটি অনন্য গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির অবিসম্বাদিত নেতা, জাতির পিতা হিসাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যেই সমগ্র জনগণ ও জাতির দ্বারা স্বীকৃত হয়েছেন এবং সমগ্র বিশ্বও বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিয়েছে।

জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ এদেশের জনগণের ঐহিহাসিক গণআন্দোলনের অর্জিত এবং মীমাংসিত বিষয়সমূহ অমীমাংসিত করার কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বক্তব্য প্রদান না করা এবং এ সকল বিষয়ে বিতর্কে জড়ানো থেকে সযত্নে দূরে থাকা, সতর্ক থাকার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

শাহাদাত হোসেন রাফিদ

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের ড্রাইভিং ট্রেনিং শুরু

জাতীয় দিবস বাতিল ও জাতির পিতা নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছে জাসদ

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি আজ ১৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রদত্ত বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবসকে জাতীয় দিবস হিসাবে প্রদত্ত স্বীকৃতি ও মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত এবং একজন উপদেষ্টা কর্তৃক ‘সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসাবে মানে করে না’ বলে প্রদত্ত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সিদ্ধান্ত ও একজন উপদেষ্টার এই বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টার ‘রিসেট বাটন পুশ করায় অতীত মুছে গেছে’ সম্বলিত বিতর্কিত বক্তব্যকেই সত্য বলে প্রমাণ করলো।

জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির এ বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে বলছে যে, ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল ঘটনাই নয়, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্মারক ও অংশ। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ঘটনা শুধু বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি কালো অধ্যায়ই না, আধুনিক বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসেও একটি কালো দিন হিসাবে চিন্থিত।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জণের স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর সংবিধান কার্যকর করার ঘটনাও বিশ্বের স্বাধীন দেশগুলির সংবিধান রচনা ও কার্যকর করার ইতিহাসেও একটি অনন্য গৌরবোজ্জ্বল ঘটনা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির অবিসম্বাদিত নেতা, জাতির পিতা হিসাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্যেই সমগ্র জনগণ ও জাতির দ্বারা স্বীকৃত হয়েছেন এবং সমগ্র বিশ্বও বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা, স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি ও প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিয়েছে।

জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ এদেশের জনগণের ঐহিহাসিক গণআন্দোলনের অর্জিত এবং মীমাংসিত বিষয়সমূহ অমীমাংসিত করার কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বক্তব্য প্রদান না করা এবং এ সকল বিষয়ে বিতর্কে জড়ানো থেকে সযত্নে দূরে থাকা, সতর্ক থাকার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।

শাহাদাত হোসেন রাফিদ