ঢাকা ১১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ১২০০ বস্তা চাল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে: উপদেষ্টা আসিফ বাসে ওঠার সময় যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পর্যালোচনায় কমিটি হচ্ছে : আইন উপদেষ্টা ফারুকের মনোনয়ন বাতিল ও আমিনুলের মনোনয়ন কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট সেপ্টেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে : গভর্নর বিভিন্ন দেশের ভিসা বন্ধ হওয়ার জন্য দেশের মানুষ ও ব্যবসায়ীরাই দায়ী: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা ক্ষমতা নেইনি, দায়িত্ব নিয়েছি: অর্থ উপদেষ্টা নতুন চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয়তা চায় ইরান মনপুরায় ভিজিএফ চাউলের চুরি ধরা পরায় সাংবাদিকদের হুমকি ওয়ার্ড মেম্বারের

মনপুরায় ভিজিএফ চাউলের চুরি ধরা পরায় সাংবাদিকদের হুমকি ওয়ার্ড মেম্বারের

ছবি: সংগৃহীত

মহিব্বুল্যাহ ইলিয়াছ,মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি:

ভোলার মনপুরা উপজেলার ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের চাউল বিতরণের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার দুপুর ১ টায় দক্ষিণ ইউনিয়ন এ গিয়ে দেখা যায় জেলেরা ভিজিএফ চাউল নেওয়ার জন্য সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে আছে। ফজলুল হক লিটন হায়দার (মেম্বার)দাড়িয়ে থেকে চার বালতি করে লোক দিয়ে চাল বিতরণ করছেন। কিন্তু স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে জানতে পারা যায় আজ লিটন মেম্বারের ওয়ার্ডে চাউল বিতরণ করা হচ্ছে না। তিনি নিজেকে ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দাবি করে। তিনি দাড়িয়ে থেকে অন্য ওয়ার্ডের জেলেদের চাউল দিচ্ছেন। প্রতি কার্ডের চাল ৮০ কেজি করে জেলেদের দেওয়ার কথা থাকলেও নিবেন্ধিত জেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ৮০ কেজির পরিবর্তে কেজি করে দেওয়ার কথা। যাতায়াত খরচের জন্য জনপ্রতি ৪ কেজি করে কম দিয়ে ৩৬ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও ৩২-৩৪ কেজি করে চাল দেওয়া হয় জেলেদের।

লিটন মেম্বার বলেন, “বালতি মেপে চাউল দেওয়া হয় প্রতি বালতি তে ৯ কেজি ৫০০ গ্রাম করে চার বালতিতে ৩৮ কেজি চাউল দিচ্ছি।” কিন্তু কয়েক জনের চাউল মেপে দেখা যায় চাউল ৩২-৩৪ কেজি।

স্থানীয় জেলেরা আরও জানান ফজলুল হক লিটন হায়দার যুবলীগের ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োজিত আছেন অনেক বছর ধরে।

এই বিষয়ে বরিশাল প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক ৭ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার ফজলুল হক লিটন হায়দার কে চাউল ওজনে কম দেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন চাউল কম দেইনা। চাউল ওজন দেওয়া মিটারের ভিডিও এবং জনগণের ভিডিও দেখালে তিনি সাংবাদিক দের সাথে উত্তেজিত হয়ে যায় এবং সাংবাদিকদের কে হুমকি ধামকি দেয়। পরক্ষণেই তিনি বলেন আমি চাউল ৪০ কেজি করে দেই। কিন্তু মাপের সময় ১ কেজি কম হতে পারে।
প্যানেল চেয়ারম্যান এর বিষয় টি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছু না বলে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন প্রশাসক’কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান , চাউল ৩৬ কেজি করে দেওয়ার কথা। কারন এক বস্তা চাউলে ঘাটতি হয় কেয়ারিং খরচ লেভার খরচ এই কারণে চাউল ৩৬ কেজি করে দেই। কিন্তু ৩৬ কেজির কম হওয়ার কথানা। তিনি আরও জানান ফজলুল হক লিটন মেম্বার ৭ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য। আজ তার ওয়ার্ডের চাউল দিচ্ছেনা কিন্তু তিনি সবাইকে বলে সে ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পেয়েছে। এমনকি তিনি নাগরিকত্ব সনদে ও সই করেছে অনেক বার।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

মনপুরায় ভিজিএফ চাউলের চুরি ধরা পরায় সাংবাদিকদের হুমকি ওয়ার্ড মেম্বারের

আপডেট সময় : ০৩:০৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

মহিব্বুল্যাহ ইলিয়াছ,মনপুরা উপজেলা প্রতিনিধি:

ভোলার মনপুরা উপজেলার ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জেলেদের ভিজিএফ কার্ডের চাউল বিতরণের ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার দুপুর ১ টায় দক্ষিণ ইউনিয়ন এ গিয়ে দেখা যায় জেলেরা ভিজিএফ চাউল নেওয়ার জন্য সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে আছে। ফজলুল হক লিটন হায়দার (মেম্বার)দাড়িয়ে থেকে চার বালতি করে লোক দিয়ে চাল বিতরণ করছেন। কিন্তু স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে জানতে পারা যায় আজ লিটন মেম্বারের ওয়ার্ডে চাউল বিতরণ করা হচ্ছে না। তিনি নিজেকে ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দাবি করে। তিনি দাড়িয়ে থেকে অন্য ওয়ার্ডের জেলেদের চাউল দিচ্ছেন। প্রতি কার্ডের চাল ৮০ কেজি করে জেলেদের দেওয়ার কথা থাকলেও নিবেন্ধিত জেলের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ৮০ কেজির পরিবর্তে কেজি করে দেওয়ার কথা। যাতায়াত খরচের জন্য জনপ্রতি ৪ কেজি করে কম দিয়ে ৩৬ কেজি করে দেওয়ার কথা থাকলেও ৩২-৩৪ কেজি করে চাল দেওয়া হয় জেলেদের।

লিটন মেম্বার বলেন, “বালতি মেপে চাউল দেওয়া হয় প্রতি বালতি তে ৯ কেজি ৫০০ গ্রাম করে চার বালতিতে ৩৮ কেজি চাউল দিচ্ছি।” কিন্তু কয়েক জনের চাউল মেপে দেখা যায় চাউল ৩২-৩৪ কেজি।

স্থানীয় জেলেরা আরও জানান ফজলুল হক লিটন হায়দার যুবলীগের ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োজিত আছেন অনেক বছর ধরে।

এই বিষয়ে বরিশাল প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক ৭ নং ওয়ার্ড এর মেম্বার ফজলুল হক লিটন হায়দার কে চাউল ওজনে কম দেওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন চাউল কম দেইনা। চাউল ওজন দেওয়া মিটারের ভিডিও এবং জনগণের ভিডিও দেখালে তিনি সাংবাদিক দের সাথে উত্তেজিত হয়ে যায় এবং সাংবাদিকদের কে হুমকি ধামকি দেয়। পরক্ষণেই তিনি বলেন আমি চাউল ৪০ কেজি করে দেই। কিন্তু মাপের সময় ১ কেজি কম হতে পারে।
প্যানেল চেয়ারম্যান এর বিষয় টি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছু না বলে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে ৪ নং দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন প্রশাসক’কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান , চাউল ৩৬ কেজি করে দেওয়ার কথা। কারন এক বস্তা চাউলে ঘাটতি হয় কেয়ারিং খরচ লেভার খরচ এই কারণে চাউল ৩৬ কেজি করে দেই। কিন্তু ৩৬ কেজির কম হওয়ার কথানা। তিনি আরও জানান ফজলুল হক লিটন মেম্বার ৭ নং ওয়ার্ড এর ইউপি সদস্য। আজ তার ওয়ার্ডের চাউল দিচ্ছেনা কিন্তু তিনি সবাইকে বলে সে ইউনিয়ন এর প্যানেল চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পেয়েছে। এমনকি তিনি নাগরিকত্ব সনদে ও সই করেছে অনেক বার।

এমএস