বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ’র স্বায়ত্তশাসন দাবীর প্রতিবাদে এবং ভূষণছড়া গণহত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধনের আয়োজন করেছে বৈষম্য বিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে পাহাড়ের অন্যতম সশস্ত্র সংগঠন প্রসীতের ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’র (ইউপিডিএফ) তিন পার্বত্য জেলায় স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রস্তাবে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দারা। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রমূলক প্রস্তাবের প্রতিবাদে এবং রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়ায় গণহত্যার বিচার ও ভূষণছড়ার নিরীহ চারশতাধিক বাঙালি হত্যার সাথে জড়িত সকল খুনীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে বৈষম্য বিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদের নেতৃত্ববৃন্দ।
মানববন্ধনে বক্তারা একটি চিহ্নিত সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে বিস্ময় প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, ইউপিডিএফ একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল। পাহাড়ে হত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত এই সংগঠনটি। যারা দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না তাদের সাথে কোন বৈঠক হতে পারে না। সমাবেশ থেকে পাহাড়ে ৪০ হাজার বাঙালি হত্যাকারী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও জেএসএস-সহ সকল সন্ত্রাসী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও সন্ত্রাসীদের বিচার দাবী করা হয় এবং রাঙামাটির বরকল উপজেলার ভূষণছড়ায় গণহত্যার বিচার ও ভূষণছড়ার নিরীহ চারশতাধিক বাঙালি হত্যার সাথে জড়িত সকল খুনীদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি।
শনিবার ৩১ মে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধনে ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী তৌহিদুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালী, পার্বত্য নাগরিক পরিষদ নেতা আতিকুর রহমান, পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদেকুর রহমান,পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি আসিফ ইকবাল, বাঙালী ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, আইনজীবী ফোরাম নেতা এডভোকেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মিনহাজ উদ্দিন।
এমএস