মনিরুল ইসলাম ডাবলু, নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুর থেকে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় গ্রীন হ্যাভেন স্কুলে যাওয়ার পথে বেপরোয়া বাসের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী বাবা ও মেয়ের ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবার মৃত্যু হয়েছে ও সাথে থাকা নিহত শান্তর স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। মেয়ে উম্মে সুরাইয়াকে (৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আই সি ইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত বাবা মোঃ শান্ত ইসলাম (৩৩) লালপুর উপজেলার আট্টিকা (জামতলা) গ্রামের মোঃ এজাহার আলীর ছেলে।
সোমবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পার্শ্ববর্তী রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলার গ্রীন হ্যাভেন স্কুলের শিক্ষার্থী মেয়ে উম্মে সুরাইয়াকে তার স্কুলে পৌঁছে দিতে স্ত্রী মোসাঃ জেসমিনকে (৩০)সাথে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন নিহত শান্ত ইসলাম।
পথিমধ্যে বাঘা উপজেলার বানিয়াপাড়া নামক স্থানে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকা গামী সুপার সনি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে বাবা ও মেয়ের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা বাবা, মেয়ে ও তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা মাকে দ্রুত উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বাবা ও মেয়ের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
স্থানীয়রা জানান,দুর্ঘটনা স্থল বানিয়াপাড়ায় আঞ্চলিক সড়কের ধারে আনোয়ার ভান্ডারীর ছেলে মাসুদ রানা ফুয়াদের ইটের স্তূপ রাখায় দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। মোটরসাইকেল চালক শান্ত ইসলাম ইঁটের স্তুুপের কারণে আগত বাসকে দেখতে না পাওয়াই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এবিষয়ে এলাকাবাসী প্রত্যক্ষদর্শীদের পক্ষ থেকে সড়কে রাখা ওই ইঁটের স্তুুপের মালিক মাসুদ রানা ফুয়াদের শাস্তির দাবী জানানো হয়।
আহতের আত্মীয় লাখি খাতুন বলেন, দুর্ঘটনায় শান্ত ইসলাম ও তার শিশু কন্যার ডান পা হাঁটু থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে। শান্ত ইসলাম একজন কম্পিউটার ব্যবসায়ী,তুরায়ফা গ্রীন হ্যাভেন কিন্ডারগার্টেন স্কুলেে নার্সারির শিক্ষার্থী। তার স্ত্রীর ডান হাত ও মাজার হাড় ভেঙে গেছে। আহতের নিকট আত্মীয় জানান, আহত সামিউন বেগম সাড় ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আ,ফ,ম, আসাদুজ্জামান বলেন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক বাস ও দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নিয়েছে। এখনো থানায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএস