ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জাহাজ থেকে সাগরে ফেলে চীফ ইঞ্জিনিয়ারকে হত্যা,বিচারের দাবিতে মানববন্ধন “দেবদুলাল বাঁচতে চায়” ঢাকা আলিয়ায় আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করতে শুরু হলো নতুন বছরের সিট বরাদ্দের আবেদন প্রক্রিয়া” ফেসবুকে প্রচুর হ্যাশট্যাগ দিয়ে পোস্ট করলে, ব্যবস্থা নেবে মেটা! দুটি পিএসসি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: আসিফ মাহমুদ বোর্ড সভাপতি হিসেবে আমার কিছু ভুল হতে পারে: ফারুক আহমেদ পরিস্থিতির অবনতি হলে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বাড়ল দেশের রিজার্ভ ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত অন্তর্বর্তী সরকার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

আরও বাড়ল দেশের রিজার্ভ

ছবি: সংগৃহীত

রেমিট্যান্সপ্রবাহের ধারা ইতিবাচক থাকায় রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।

তবে বাস্তবে যে রিজার্ভ ব্যবহারযোগ্য, সেই ‘নিট রিজার্ভ’-এর হিসাব আরও ভিন্ন। আইএমএফকে জানানো হিসাবে—এসডিআর খাত, ব্যাংকগুলোর ফরেক্স ক্লিয়ারিং ব্যালান্স এবং আকুর পাওনা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রিজার্ভে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে মূল অবদান রাখছে প্রবাস আয়। চলতি এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।

শুধু গত মার্চ মাসেই রেমিট্যান্সের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ—এ মাসজুড়ে এসেছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে রয়েছে। জুলাইয়ে এসেছে ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন, আগস্টে ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বরে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন, অক্টোবরে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন, নভেম্বরে ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন, ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন, জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকভাবে টানা সাত মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্সপ্রবাহ অব্যাহত থাকার ফলেই রিজার্ভে এসেছে গতি।

সাধারণত একটি দেশের রিজার্ভ অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত হওয়া প্রয়োজন। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশের তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।

অর্থনীতিবিদদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ এবং বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক ও প্রবাসী প্রণোদনার কার্যকর উদ্যোগ রিজার্ভে এই গতি ফেরাতে সহায়ক হয়েছে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জাহাজ থেকে সাগরে ফেলে চীফ ইঞ্জিনিয়ারকে হত্যা,বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

আরও বাড়ল দেশের রিজার্ভ

আপডেট সময় : ১১:১৩:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

রেমিট্যান্সপ্রবাহের ধারা ইতিবাচক থাকায় রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।

তবে বাস্তবে যে রিজার্ভ ব্যবহারযোগ্য, সেই ‘নিট রিজার্ভ’-এর হিসাব আরও ভিন্ন। আইএমএফকে জানানো হিসাবে—এসডিআর খাত, ব্যাংকগুলোর ফরেক্স ক্লিয়ারিং ব্যালান্স এবং আকুর পাওনা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃত ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, রিজার্ভে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পেছনে মূল অবদান রাখছে প্রবাস আয়। চলতি এপ্রিলের প্রথম ২৬ দিনেই রেমিট্যান্স এসেছে ২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার।

শুধু গত মার্চ মাসেই রেমিট্যান্সের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ—এ মাসজুড়ে এসেছে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলারের ওপরে রয়েছে। জুলাইয়ে এসেছে ১ দশমিক ৯১ বিলিয়ন, আগস্টে ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন, সেপ্টেম্বরে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন, অক্টোবরে ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন, নভেম্বরে ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন, ডিসেম্বরে ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন, জানুয়ারিতে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন এবং ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকভাবে টানা সাত মাস দুই বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্সপ্রবাহ অব্যাহত থাকার ফলেই রিজার্ভে এসেছে গতি।

সাধারণত একটি দেশের রিজার্ভ অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহের জন্য পর্যাপ্ত হওয়া প্রয়োজন। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশের তিন মাসের বেশি সময়ের আমদানি দায় মেটানো সম্ভব, যা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক বার্তা দেয়।

অর্থনীতিবিদদের মতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ এবং বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক ও প্রবাসী প্রণোদনার কার্যকর উদ্যোগ রিজার্ভে এই গতি ফেরাতে সহায়ক হয়েছে।

কেকে