ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইছাআবা ঢাবি শাখা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আড়ংয়ে চাকরির নিয়োগ, এইচএসসি পাশেই আবেদন ‘আমি তো বলিনি সরকার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চায়’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তিতুমীর কলেজে বর্ষবরণে রাজনৈতিক রঙ, শিক্ষার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জয়পুরহাট পাঁচবিবি উপজেলা বিএনপি ছাত্র নেতাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা, আহত ৪ জন, আটক ১ নাটোরের নলডাঙ্গায় ফিলিস্তিনে ইজরায়েল হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মুদি দোকানি কে হত্যা জানা গেল ফাজিল অনার্স পরীক্ষা শুরুর তারিখ বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদটা দরকার ছিল: মেলিন্ডা গেটস

আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে চৈত্রসংক্রান্তি

ছবি: সংগৃহীত

মোঃ বাবুল আক্তার ,ভেড়ামার (উপজেলা) প্রতিনিধি :

বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। চৈত্র মাসের শেষ দিন আজ (১৩ এপ্রিল) রবিবার। এই দিনটিকে চৈত্রসংক্রান্তি হিসেবে উদযাপন করা হয়। এ ছাড়াও আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) সোমবার পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২।

আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্রসংক্রান্তি। মনে করা হয়, চৈত্রসংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্রসংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।

চৈত্রসংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মচারীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। শিবের গাজন ও ধর্মের গাজন নামে পালাগানও অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। গাজন মূলত কৃষকদের উৎসব। চৈত্রের দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য চাষিরা পালার আয়োজন করে থাকেন, যা গাজন নামে পরিচিত। কিছু কিছু স্থানে চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়ে থাকে। বিশেষ করে হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্রসংক্রান্তি।

চড়ককে চৈত্রসংক্রান্তির প্রধান উৎসব বলা হয়। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।

এদিকে, পুরোনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে (১৪ এপ্রিল) সোমবার বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে। এদিন জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সবকিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে সমগ্র জাতি।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইছাআবা ঢাবি শাখা

আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে চৈত্রসংক্রান্তি

আপডেট সময় : ০৬:১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

মোঃ বাবুল আক্তার ,ভেড়ামার (উপজেলা) প্রতিনিধি :

বছরের শেষ দিন হিসেবে পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্রসংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। চৈত্র মাসের শেষ দিন আজ (১৩ এপ্রিল) রবিবার। এই দিনটিকে চৈত্রসংক্রান্তি হিসেবে উদযাপন করা হয়। এ ছাড়াও আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) সোমবার পহেলা বৈশাখ, নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২।

আবহমান বাংলার চিরায়িত বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্রসংক্রান্তি। মনে করা হয়, চৈত্রসংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন। তাই চৈত্রসংক্রান্তি হচ্ছে বাঙালির আরেক বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।

চৈত্রসংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মচারীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে থাকেন। শিবের গাজন ও ধর্মের গাজন নামে পালাগানও অনুষ্ঠিত হতে দেখা যায়। গাজন মূলত কৃষকদের উৎসব। চৈত্রের দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য চাষিরা পালার আয়োজন করে থাকেন, যা গাজন নামে পরিচিত। কিছু কিছু স্থানে চড়ক পূজা অনুষ্ঠিত হয়। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে গ্রামগঞ্জে নানা ধরনের মেলা ও উৎসব হয়ে থাকে। বিশেষ করে হালখাতার জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সাজানো, লাঠিখেলা, গান, সংযাত্রা, রায়বেশে নৃত্য, শোভাযাত্রাসহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয় চৈত্রসংক্রান্তি।

চড়ককে চৈত্রসংক্রান্তির প্রধান উৎসব বলা হয়। চড়ক গাজন উৎসবের একটি প্রধান অঙ্গ। এ উপলক্ষে গ্রামের শিবতলা থেকে শোভাযাত্রা শুরু করে অন্য গ্রামের শিবতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। একজন শিব ও একজন গৌরী সেজে নৃত্য করে এবং অন্য ভক্তরা নন্দি, ভৃঙ্গী, ভূত-প্রেত, দৈত্য-দানব সেজে শিব-গৌরীর সঙ্গে নেচে চলে।

এদিকে, পুরোনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে (১৪ এপ্রিল) সোমবার বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে। এদিন জরাজীর্ণতা, ক্লেশ ও বেদনার সবকিছুকে বিদায় জানানোর পাশাপাশি সব অন্ধকারকে বিদায় জানিয়ে আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার থাকবে সমগ্র জাতি।

এমএস