ঢাকা ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

নাটোরে যুবকের চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টা- থানায় মামলা

ছবি : সংগৃহীত

নাটোর প্রতিনিধিঃ

নাটোরের বড়াইগ্রামে নাজমুল হক(৩৫) নামের এক যুবকের চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার উপজেলার বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নাজমুল হক।

আসামীরা হলো- বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম(৪৫), হাফিজুল ইসলামের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম তুষার(২২) ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার(৩৮)।

নাজমুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা আমার প্রতিবেশী। বিভিন্নভাবে তারা আমার পরিবারকে নির্যাতন করে তাদের কলার গাছের পাতা এসে আমার বাড়ির উঠান অন্ধকার করে রাখে।

রবিবার সকালে সেই কলা গাছের পাতা কেটে পরিস্কার করছিলাম। এসময় হাফিজুল ইসলামের ছেলে ও তার স্ত্রী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে এসে গালাগাল করতে থাকে। আমি গালাগাল করতে নিষেধ করলে আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় আমি মাটিতে পরে গেলে তারা আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী উদ্ধার করতে এলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরো বলেন আমার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেয়া হয়েছে। চোখে ঝাপসা দেখছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডলি রানী বলেন, তার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত হাফিজুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কাউকেও পাওয়া যায় নি।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

নাটোরে যুবকের চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টা- থানায় মামলা

আপডেট সময় : ১১:১৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

নাটোর প্রতিনিধিঃ

নাটোরের বড়াইগ্রামে নাজমুল হক(৩৫) নামের এক যুবকের চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার উপজেলার বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নাজমুল হক।

আসামীরা হলো- বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম(৪৫), হাফিজুল ইসলামের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম তুষার(২২) ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার(৩৮)।

নাজমুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা আমার প্রতিবেশী। বিভিন্নভাবে তারা আমার পরিবারকে নির্যাতন করে তাদের কলার গাছের পাতা এসে আমার বাড়ির উঠান অন্ধকার করে রাখে।

রবিবার সকালে সেই কলা গাছের পাতা কেটে পরিস্কার করছিলাম। এসময় হাফিজুল ইসলামের ছেলে ও তার স্ত্রী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে এসে গালাগাল করতে থাকে। আমি গালাগাল করতে নিষেধ করলে আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় আমি মাটিতে পরে গেলে তারা আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী উদ্ধার করতে এলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরো বলেন আমার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেয়া হয়েছে। চোখে ঝাপসা দেখছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডলি রানী বলেন, তার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত হাফিজুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কাউকেও পাওয়া যায় নি।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এমএস