ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এইচএসসি পরীক্ষা কি পেছাবে? তজুমুদ্দিন উপজেলায় প্রাইমারি স্কুলের নিয়োগ বানিজ্যের সহযোগী সামিয়া গ্রেফতার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা বকশীগঞ্জে বহাল তবিয়তে স্বৈরাচারের দোসর সোহানুর রহমান: জনমনে ক্ষোভ ও প্রতিরোধের ডাক বৈঠক শেষে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন আমির খসরু কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও আবাসিকে নতুন গ্যাসের সম্ভাবনা নেই: জ্বালানি উপদেষ্টা সরকার আইসিটি খাতের টেকসই ভিত্তি গড়তে কাজ করছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে যা বললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা স্থগিত করল ইরান শিক্ষার্থীদের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষন চালু করলো বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি

নাটোরে যুবকের চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টা- থানায় মামলা

ছবি : সংগৃহীত

নাটোর প্রতিনিধিঃ

নাটোরের বড়াইগ্রামে নাজমুল হক(৩৫) নামের এক যুবকের চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার উপজেলার বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নাজমুল হক।

আসামীরা হলো- বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম(৪৫), হাফিজুল ইসলামের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম তুষার(২২) ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার(৩৮)।

নাজমুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা আমার প্রতিবেশী। বিভিন্নভাবে তারা আমার পরিবারকে নির্যাতন করে তাদের কলার গাছের পাতা এসে আমার বাড়ির উঠান অন্ধকার করে রাখে।

রবিবার সকালে সেই কলা গাছের পাতা কেটে পরিস্কার করছিলাম। এসময় হাফিজুল ইসলামের ছেলে ও তার স্ত্রী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে এসে গালাগাল করতে থাকে। আমি গালাগাল করতে নিষেধ করলে আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় আমি মাটিতে পরে গেলে তারা আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী উদ্ধার করতে এলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরো বলেন আমার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেয়া হয়েছে। চোখে ঝাপসা দেখছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডলি রানী বলেন, তার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত হাফিজুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কাউকেও পাওয়া যায় নি।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এইচএসসি পরীক্ষা কি পেছাবে?

নাটোরে যুবকের চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টা- থানায় মামলা

আপডেট সময় : ১১:১৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

নাটোর প্রতিনিধিঃ

নাটোরের বড়াইগ্রামে নাজমুল হক(৩৫) নামের এক যুবকের চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রবিবার উপজেলার বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার দিবাগত রাতে এ ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নাজমুল হক।

আসামীরা হলো- বাজিতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলাম(৪৫), হাফিজুল ইসলামের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম তুষার(২২) ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার(৩৮)।

নাজমুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা আমার প্রতিবেশী। বিভিন্নভাবে তারা আমার পরিবারকে নির্যাতন করে তাদের কলার গাছের পাতা এসে আমার বাড়ির উঠান অন্ধকার করে রাখে।

রবিবার সকালে সেই কলা গাছের পাতা কেটে পরিস্কার করছিলাম। এসময় হাফিজুল ইসলামের ছেলে ও তার স্ত্রী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে এসে গালাগাল করতে থাকে। আমি গালাগাল করতে নিষেধ করলে আমাকে মারধর শুরু করে। এসময় আমি মাটিতে পরে গেলে তারা আমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও চোখ তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। আমার স্ত্রী উদ্ধার করতে এলে তাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তিনি আরো বলেন আমার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেয়া হয়েছে। চোখে ঝাপসা দেখছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডলি রানী বলেন, তার চোখের নিচে ছয়টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে অভিযুক্ত হাফিজুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কাউকেও পাওয়া যায় নি।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এমএস