মোঃ সাদেকুল ইসলাম,রুহিয়া প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের উত্তরের জেলার মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলা অভিজ্ঞ দক্ষ জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হিসেবে আছে হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র। তাঁরা নির্দিষ্ট কোন দলের হলেও ঠাকুরগাঁওয়ের ক্ষেত্রে সকল জনগণের পরম বন্ধু ও অভিভাবক। তাঁর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মরহুম তৈমুর রহমান।
প্রবীণ রাজনীতিবিদ তৈমুর রহমানের মৃত্যুতে প্রথম শোক প্রকাশ হয় সোমবার (৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫ টায় মোহেব্বুল্লাহ আবুনুর চৌধুরীর মিল মাঠ প্রাঙ্গনে ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মি সহ রুহিয়া থানা ও ইউনিয়ন নেতাকর্মীগন।
মরহুম তৈমুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি, রুহিয়া ইউনিয়নের তিন তিনবারের সফল চেয়ারম্যান এবং সাবেক ঠাকুরগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের একজন অনন্য সংগঠক হিসেবে তার অবদান জাতির নিকট চির অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন একাধারে প্রাজ্ঞ ও জনঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং সজ্জন ও বিনয়ী মানুষ হিসেবেও সর্বমহলে তার ছিল অকৃত্রিম গ্রহণযোগ্যতা। জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতান্ত্রিক চেতনাকে দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ করে মানুষের বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে তার লড়াই ছিল অবিস্মরণীয়।
বর্তমান সময়ে তার মতো আদর্শনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ খুব কম আছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক করছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সহ বিভাগীয় রাজনৈতিক নেতা, সংগঠন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকার্ত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। মৃত্যুকালে তৈমুর রহমানের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তৈমুর রহমান ৩ মার্চ ভারতের বোম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তিনি তার সহধর্মিণী, এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানসহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এমএস