ঢাকা ০৮:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত নাটোরে শয়নকক্ষ থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে কমিটি গঠন হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক পাকিস্তানের, যা বলছে গণমাধ্যম ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নাটেরের নলডাঙ্গায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যু নাটোরে নিহত শিশু জুঁইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

জাতীয় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের সমান সুযোগ চায় জাতিসংঘ

জাতিসংঘ লোগো

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।

জাতিসংঘের এ দপ্তর তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়েছে যে ‘বিশেষ করে নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়ে বিশেষ পদক্ষেপ পুনঃপ্রবর্তনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন, যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়।’

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের জেনেভা অফিস থেকে ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের আন্দোলন সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ওএইচসিএইচআর মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এ ছাড়া দপ্তরটি শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবের ভারসাম্য রক্ষার জন্য তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছে।

জাতিসংঘের এই মানবাধিকার দপ্তর নাগরিকদের ও অধিকারভোগীদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয় ও সরাসরি সম্পৃক্ত করার জন্য নাগরিক নেতৃত্বাধীন অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক পরামর্শমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

ওএইচসিএইচআর বাংলাদেশ সরকারকে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এটি একটি প্রকৃত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে ব্যাহত করতে পারে এবং বাংলাদেশের একটি বৃহৎ ভোটারগোষ্ঠীকে কার্যত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে।

এ ছাড়া দপ্তরটি রাজনৈতিক ও জনজীবনে নারী-পুরুষের মধ্যে প্রকৃত সমতা নিশ্চিত করতে প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সাময়িক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি যে রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনে এগোতে সম্মত হলে, নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে পারে।’

শফিকুল আলম আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘যদি দলগুলো অতিরিক্ত সংস্কার কার্যকর করার পর নির্বাচন করতে চায়, সেক্ষেত্রে তিন মাস পর্যন্ত বিলম্ব হতে পারে।’

২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার পর আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘মূলত এ নির্বাচনের তারিখ ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্ধারণ করা যেতে পারে।’

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত

জাতীয় নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের সমান সুযোগ চায় জাতিসংঘ

আপডেট সময় : ১০:৪৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।

জাতিসংঘের এ দপ্তর তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়েছে যে ‘বিশেষ করে নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়ে বিশেষ পদক্ষেপ পুনঃপ্রবর্তনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন, যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়।’

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের জেনেভা অফিস থেকে ‘বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের আন্দোলন সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ওএইচসিএইচআর মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনসহ নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের জন্য নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

এ ছাড়া দপ্তরটি শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবের ভারসাম্য রক্ষার জন্য তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছে।

জাতিসংঘের এই মানবাধিকার দপ্তর নাগরিকদের ও অধিকারভোগীদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আরও সক্রিয় ও সরাসরি সম্পৃক্ত করার জন্য নাগরিক নেতৃত্বাধীন অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে।

প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যাপক পরামর্শমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

ওএইচসিএইচআর বাংলাদেশ সরকারকে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, এটি একটি প্রকৃত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাকে ব্যাহত করতে পারে এবং বাংলাদেশের একটি বৃহৎ ভোটারগোষ্ঠীকে কার্যত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারে।

এ ছাড়া দপ্তরটি রাজনৈতিক ও জনজীবনে নারী-পুরুষের মধ্যে প্রকৃত সমতা নিশ্চিত করতে প্রচলিত আইন ও বিধিবিধান কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সাময়িক বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।

শনিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি যে রাজনৈতিক দলগুলো ন্যূনতম সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনে এগোতে সম্মত হলে, নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে পারে।’

শফিকুল আলম আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘যদি দলগুলো অতিরিক্ত সংস্কার কার্যকর করার পর নির্বাচন করতে চায়, সেক্ষেত্রে তিন মাস পর্যন্ত বিলম্ব হতে পারে।’

২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার কাজ সম্পন্ন করার পর আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘মূলত এ নির্বাচনের তারিখ ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্ধারণ করা যেতে পারে।’

কেকে