ঢাকা ০২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‘স্কুইড গেম টু’ সিরিজ নিয়ে তোলপাড় সারাবিশ্ব, আসছে নতুন সিক্যুয়েল শীতের দিন শরীর উষ্ণ রাখে, যে তিন পুষ্টিকর খাবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অটো রিক্সার নিচে চাপা পড়ে ৮বছরের শিশু নিহত ওলমোর নিবন্ধন নিয়ে জটিলতায় বার্সেলোনা, অসন্তুষ্ট বার্সা কোচ ঝিনাইদহে মটরসাইকেলে ফেনসিডিল নিয়ে যাওয়ার পথে এক্সিডেন্ট করে ২০০ বোতল ফেনসিডিল গড়িয়ে পড়ে রাস্তায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানে না ভোট কী : মির্জা ফখরুল এবার নাচ-গান হাসি-ঠাট্টা আর মূর্খের সংসদ হবে না: ডা. শফিকুর রহমান বিষ প্রয়োগে বাশার আল-আসাদকে হত্যাচেষ্টা করে রাশিয়া ক্যালিফোর্নিয়ায় ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত বিমান, নিহত ২ ডিবি হারুনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সবচেয়ে বেশি

বিশ্বনাথ উপজেলায় ৮০০ শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন বন্ধ

ছবিঃ সংগৃহীত

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যোগদান না করায় প্রায় ৮০০ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে।

গত ২৪ অক্টোবর মাহমুদুল হক নামের এই শিক্ষা অফিসার হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা থেকে বদলি হয়ে বিশ্বনাথ উপজেলায় যোগদান করার কথা ছিল; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তিনি বিশ্বনাথ উপজেলায় যোগদান না করায় প্রায় ৮০০ শিক্ষক কর্মচারীর অক্টোবর মাসের বেতন পাচ্ছেন না।

উপজেলার ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকসহ ৭০২ জন শিক্ষক ও ৯০৩ জন স্টাফসহ প্রায় ৮০০ জনের ভেতন বন্ধ রয়েছে। ফলে বাসা ভাড়া ও পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে না পারায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর অবসরে চলে যান বিশ্বনাথে কর্মরত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক। তার পরিবর্তে গত ২৪ অক্টোবর বিশ্বনাথে যোগদান করার কথা ছিল মাহমুদুল হক নামের একজন শিক্ষা অফিসারের। তিনি ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার; কিন্তু তিনি অদৃশ্য কারণে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান না করায় অক্টোবর মাসের বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষক কর্মচারীরা।

এ নিয়ে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ প্রকাশ করে জেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবুল কান্তি দাশ মেঘল বলেন, গত ৩১ অক্টোবর সাবেক বিশ্বনাথ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক অবসরে চলে যান। তার পরিবর্তে গত ২৪ অক্টোবর হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা থেকে বিশ্বনাথে যোগদান করার কথা ছিল মাহমুদুল হক নামের একজন শিক্ষা অফিসারের। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি যোগদান করেননি। তার যোগদান বিলম্বে বিশ্বনাথ উপজেলার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকসহ ৭০২ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব শিক্ষক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুহেল রানা বলেন, গত ৪ নভেম্বর নতুন শিক্ষা অফিসার জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করে ৩ দিনের জন্য ছুটিতে ছিলেন। বর্তমানে শুনেছি তিনি আবার জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করেছেন। এর বেশি তিনি আর কিছুই বলতে পারেননি।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

‘স্কুইড গেম টু’ সিরিজ নিয়ে তোলপাড় সারাবিশ্ব, আসছে নতুন সিক্যুয়েল

বিশ্বনাথ উপজেলায় ৮০০ শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতন বন্ধ

আপডেট সময় : ১০:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার যোগদান না করায় প্রায় ৮০০ শিক্ষক কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে।

গত ২৪ অক্টোবর মাহমুদুল হক নামের এই শিক্ষা অফিসার হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা থেকে বদলি হয়ে বিশ্বনাথ উপজেলায় যোগদান করার কথা ছিল; কিন্তু অদৃশ্য কারণে তিনি বিশ্বনাথ উপজেলায় যোগদান না করায় প্রায় ৮০০ শিক্ষক কর্মচারীর অক্টোবর মাসের বেতন পাচ্ছেন না।

উপজেলার ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ও সহকারী শিক্ষকসহ ৭০২ জন শিক্ষক ও ৯০৩ জন স্টাফসহ প্রায় ৮০০ জনের ভেতন বন্ধ রয়েছে। ফলে বাসা ভাড়া ও পরিবারের প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে না পারায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর অবসরে চলে যান বিশ্বনাথে কর্মরত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক। তার পরিবর্তে গত ২৪ অক্টোবর বিশ্বনাথে যোগদান করার কথা ছিল মাহমুদুল হক নামের একজন শিক্ষা অফিসারের। তিনি ছিলেন হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার; কিন্তু তিনি অদৃশ্য কারণে বিশ্বনাথ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগদান না করায় অক্টোবর মাসের বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষক কর্মচারীরা।

এ নিয়ে চরম ক্ষোভ আর অসন্তোষ প্রকাশ করে জেলা সহকারী শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও মুফতিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বাবুল কান্তি দাশ মেঘল বলেন, গত ৩১ অক্টোবর সাবেক বিশ্বনাথ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রাজ্জাক অবসরে চলে যান। তার পরিবর্তে গত ২৪ অক্টোবর হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা থেকে বিশ্বনাথে যোগদান করার কথা ছিল মাহমুদুল হক নামের একজন শিক্ষা অফিসারের। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ দিন অতিবাহিত হলেও তিনি যোগদান করেননি। তার যোগদান বিলম্বে বিশ্বনাথ উপজেলার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকসহ ৭০২ জন শিক্ষকের বেতন বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব শিক্ষক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুহেল রানা বলেন, গত ৪ নভেম্বর নতুন শিক্ষা অফিসার জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করে ৩ দিনের জন্য ছুটিতে ছিলেন। বর্তমানে শুনেছি তিনি আবার জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করেছেন। এর বেশি তিনি আর কিছুই বলতে পারেননি।

কেকে