ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাসে ৮ লক্ষ টাকা বেতন পেতেন চিফ হিট অফিসার আতিক কন্যা বুশরা

ছবিঃ সংগৃহীত

মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) মো. আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছিল, পাশাপাশি আরো একাধিক মামলায় তার নাম রয়েছে। তাকে ঘিরে উঠে আসছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ।

আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালে তার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন।

এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তিনি নগর ভবনে নিজের প্রভাব বিস্তার করেন। তার ভাতিজা এবং ভাগিনাদের বিভিন্ন প্রভাবশালী পদে বসিয়েছেন, তারা সিটি করপোরেশনের ব্যবসা ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন।

এমনকি তার ভাগিনা তৌফিক ডিএনসিসির মধ্যে দ্বিতীয় মেয়র হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যার দাপটে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চুপ থাকতে বাধ্য হতেন। তিনি তার মেয়ে বুশরা আফরিনকে ‘চিফ হিট অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেন।

পারিবারিক সদস্যদের দিয়ে ডিএনসিসির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে নিয়ন্ত্রণ বসিয়ে সুবিধা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিনা বিজ্ঞপ্তিতে সাবেক মেয়র আতিক তার মেয়ে বুশরা আফরিনকে চিফ হিট অফিসার পদে নিয়োগ দেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যক্কারজনকভাবে বুশরাকে মাসে আট লাখ টাকা করে বেতন দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি গাড়ি দিয়ে রাস্তায় পানি দিয়েই নাকি তিনি হিট প্রশমিত করেছেন।‌ এইরকম নানা দুর্নীতির কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন মেয়র আতিক। আওয়ামী লীগের শাসনকালে তিনি হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

নিহাদ সাজিদ

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মাসে ৮ লক্ষ টাকা বেতন পেতেন চিফ হিট অফিসার আতিক কন্যা বুশরা

আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) মো. আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছিল, পাশাপাশি আরো একাধিক মামলায় তার নাম রয়েছে। তাকে ঘিরে উঠে আসছে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ।

আতিকুল ইসলাম ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালে তার আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন।

এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তিনি নগর ভবনে নিজের প্রভাব বিস্তার করেন। তার ভাতিজা এবং ভাগিনাদের বিভিন্ন প্রভাবশালী পদে বসিয়েছেন, তারা সিটি করপোরেশনের ব্যবসা ও কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন।

এমনকি তার ভাগিনা তৌফিক ডিএনসিসির মধ্যে দ্বিতীয় মেয়র হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যার দাপটে অনেক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চুপ থাকতে বাধ্য হতেন। তিনি তার মেয়ে বুশরা আফরিনকে ‘চিফ হিট অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেন।

পারিবারিক সদস্যদের দিয়ে ডিএনসিসির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে নিয়ন্ত্রণ বসিয়ে সুবিধা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিনা বিজ্ঞপ্তিতে সাবেক মেয়র আতিক তার মেয়ে বুশরা আফরিনকে চিফ হিট অফিসার পদে নিয়োগ দেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ন্যক্কারজনকভাবে বুশরাকে মাসে আট লাখ টাকা করে বেতন দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি গাড়ি দিয়ে রাস্তায় পানি দিয়েই নাকি তিনি হিট প্রশমিত করেছেন।‌ এইরকম নানা দুর্নীতির কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন মেয়র আতিক। আওয়ামী লীগের শাসনকালে তিনি হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।

নিহাদ সাজিদ