ঢাকা ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের কাজ শুরু হচ্ছে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা মাদকের সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের ধরতে হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশা করছি যুক্তরাষ্ট্র যৌক্তিক পর্যায়ে শুল্ক নির্ধারণ করবে : বাণিজ্য উপদেষ্টা চিলড্রেন্স পার্টির কথা শুনে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই : মির্জা আব্বাস ভারত পানি ছাড়ার আগ মুহূর্তে তথ্য দেয়, বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন : রিজওয়ানা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো চাপ নেই: পাকিস্তান রাজস্ব অধ্যাদেশে চতুরতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে: জ্বালানি উপদেষ্টা প্রতি তিনদিনে রেকর্ড ভাঙেন মেসি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে এলো নতুন চমক অন্যায়ের প্রতিবাদ হোক শালীন ভাষায় : জামায়াত আমির

চিলড্রেন্স পার্টির কথা শুনে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই : মির্জা আব্বাস

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “একটা দল আছে কী বলে ‘বাংলাদেশ চিলড্রেন্স পার্টি’, এই চিলড্রেন্স পার্টির অনেকে এখন তারেক রহমান সম্পর্কে কথা বলেন, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কথা বলেন। আরে ভাই তোমাদের দাদাও তো জিয়াউর রহমানকে চেনে, কী সব কথা বলে এরা। এখন এসব লোকের কথাবার্তা শুনে আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই।”

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড ও সারা দেশে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর বিচারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ কর্মসূচি করে।

সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপি একটি জনপ্রিয় দল, এই দলকে দেশের জনগণ ভালোবাসে। এই দলকে সহজে জনগণের মন থেকে উঠিয়ে ফেলা যাবে না, যত ষড়যন্ত্রই করেন।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটি কথা না বললেই নয়, এক লোকের এক দল… আমি নামটা তার বলতে চাই না। ওই লোকটি এবং তার দল (ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ) যারা বলছে, স্লোগান দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ গেছে যেই পথে বিএনপি যাবে সেই পথে। আরে ব্যাটা এত সহজ নাকি এটা… এতোই সহজ! আমাদের কোথাও যাওয়ার রাস্তা নেই। এই বাংলাদেশ আমাদের স্থায়ী ঠিকানা। এই লোকটি এবং তার দলবল বিএনপিকে এখন সহ্য করতে পারছে না, কিন্তু আওয়ামী লীগকে ঠিক সহ্য করতেন।

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে যখন হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের ওপরে হামলা করা হয়েছিল এই চরমোনাইয়ের পীর সাহেব কোথায় ছিলেন? উনি কি মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন? দাঁড়াননি। কে দাঁড়িয়েছে? বিএনপি দাঁড়িয়েছে?’

জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আরেকটি দল লম্বা লম্বা কথা ছাড়া, সুকৌশলে চাঁদা নেওয়া ছাড়া, সুকৌশলে হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ নেই। টাকা নিয়েছে বসুন্ধরার কাছ থেকে, সিটি গ্রুপের কাছ থেকে, আরও কোন কোন গ্রুপের কাছ থেকে টাকা খায় আমাদের জানা আছে, সব কিছুর হিসাব হবে।

গায়ের জোরে কথা বলেন। নিজের পায়ে জোর নেই। এরশাদের সময়ে এরশাদের কাঁধে ভর করেন, আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করেন, বিএনপির সময়ে বিএনপির কাঁধে ভর করেন, লম্বা লম্বা কথা বলেন। এখন বিএনপি ওদের একমাত্র মাথা ব্যথা, বিএনপিকে যদি শেষ করে দেওয়া যায় তাহলে উনারা রাজত্ব করতে পারবেন। তারা তারেক রহমানকে সহ্য করতে পারছেন না। কোনো লাভ নেই, তারেক রহমান তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হকও বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ নেতারা ছিলেন।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের কাজ শুরু হচ্ছে: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

চিলড্রেন্স পার্টির কথা শুনে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই : মির্জা আব্বাস

আপডেট সময় : ১০:১৮:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, “একটা দল আছে কী বলে ‘বাংলাদেশ চিলড্রেন্স পার্টি’, এই চিলড্রেন্স পার্টির অনেকে এখন তারেক রহমান সম্পর্কে কথা বলেন, জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কথা বলেন। আরে ভাই তোমাদের দাদাও তো জিয়াউর রহমানকে চেনে, কী সব কথা বলে এরা। এখন এসব লোকের কথাবার্তা শুনে আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই।”

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচারের প্রতিবাদ এবং মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড ও সারা দেশে নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর বিচারের দাবিতে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এ কর্মসূচি করে।

সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বিএনপি একটি জনপ্রিয় দল, এই দলকে দেশের জনগণ ভালোবাসে। এই দলকে সহজে জনগণের মন থেকে উঠিয়ে ফেলা যাবে না, যত ষড়যন্ত্রই করেন।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির প্রসঙ্গে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘একটি কথা না বললেই নয়, এক লোকের এক দল… আমি নামটা তার বলতে চাই না। ওই লোকটি এবং তার দল (ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ) যারা বলছে, স্লোগান দিচ্ছে, আওয়ামী লীগ গেছে যেই পথে বিএনপি যাবে সেই পথে। আরে ব্যাটা এত সহজ নাকি এটা… এতোই সহজ! আমাদের কোথাও যাওয়ার রাস্তা নেই। এই বাংলাদেশ আমাদের স্থায়ী ঠিকানা। এই লোকটি এবং তার দলবল বিএনপিকে এখন সহ্য করতে পারছে না, কিন্তু আওয়ামী লীগকে ঠিক সহ্য করতেন।

২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে যখন হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের ওপরে হামলা করা হয়েছিল এই চরমোনাইয়ের পীর সাহেব কোথায় ছিলেন? উনি কি মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন? দাঁড়াননি। কে দাঁড়িয়েছে? বিএনপি দাঁড়িয়েছে?’

জামায়াতে ইসলামীর প্রতি ইঙ্গিত করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আরেকটি দল লম্বা লম্বা কথা ছাড়া, সুকৌশলে চাঁদা নেওয়া ছাড়া, সুকৌশলে হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ নেই। টাকা নিয়েছে বসুন্ধরার কাছ থেকে, সিটি গ্রুপের কাছ থেকে, আরও কোন কোন গ্রুপের কাছ থেকে টাকা খায় আমাদের জানা আছে, সব কিছুর হিসাব হবে।

গায়ের জোরে কথা বলেন। নিজের পায়ে জোর নেই। এরশাদের সময়ে এরশাদের কাঁধে ভর করেন, আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগের কাঁধে ভর করেন, বিএনপির সময়ে বিএনপির কাঁধে ভর করেন, লম্বা লম্বা কথা বলেন। এখন বিএনপি ওদের একমাত্র মাথা ব্যথা, বিএনপিকে যদি শেষ করে দেওয়া যায় তাহলে উনারা রাজত্ব করতে পারবেন। তারা তারেক রহমানকে সহ্য করতে পারছেন না। কোনো লাভ নেই, তারেক রহমান তার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এ সমাবেশে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হকও বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ নেতারা ছিলেন।

কেকে