ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাটোরে ঝড়-বৃষ্টিতে বাড়ির ইটের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরের বড়াইগ্রামে ঝড়-বাতাসে বাড়ির দেয়াল ধসে পড়া প্রাচীরের চাপায় বিথি খাতুন (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ৪৫ মিনিটের সময় উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের আগ্রান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিথি ওই এলাকার কৃষক আবু বক্করের বড় মেয়ে। বিথি স্থানীয় একটি সংস্থা পরিচালিত উপ-আনুষ্ঠানিক প্রথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে চারদিকে হঠাৎ কালো মেঘে ঢেকে আসে আকাশ, শুরু হয় প্রবল ঝড় হাওয়া। সে সময় বিথি বাড়ির প্রাচীরের পাশে থাকা একটি কলের কাছে হাত-পা ধুচ্ছিল। হঠাৎ করেই প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ায় বাড়ির পুরনো ও দুর্বল প্রাচীরটি ধসে পড়ে বিথির শরীরের উপর। বিকট শব্দে ভেঙে পড়া প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে ছোট্ট মেয়েটি।এতে তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায় এবং রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাড়িজুড়ে। বিথির পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত বনপাড়া বাইপাসে অবস্থিত বেসরকারি আমেনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই বিথি মারা গেছে। বিথির নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার ও এলাকাবাসী।

বিথির চাচা হোসেন আলী বলেন, ‘এই করুণ মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের নয়, একটি গ্রামেরও অপূরণীয় ক্ষতি। স্কুলে ভীষণ মনোযোগী ও মেধাবী ছিল বিথি। শিক্ষকরা বলতেন, সে বড় হয়ে শিক্ষক হতে চায়, গ্রামের শিশুদের পড়াতে চায়। এমন স্বপ্ন নিয়ে পথচলা ছোট্ট মেয়েটি জীবন নামের পথেই থেমে গেল এক অযত্নে নির্মিত প্রাচীরের নিচে। বিথির মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সবাই বাকরুদ্ধ।’

উল্লখ্য,বিথির চাচা ডা: আবু হানিফ রংপুর মেডিকেল কলেজের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।মর্মান্তিক এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নাটোরে ঝড়-বৃষ্টিতে বাড়ির ইটের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৪:১৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

মনিরুল ইসলাম ডাবলু, নাটোর প্রতিনিধি:

নাটোরের বড়াইগ্রামে ঝড়-বাতাসে বাড়ির দেয়াল ধসে পড়া প্রাচীরের চাপায় বিথি খাতুন (১১) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা ৪৫ মিনিটের সময় উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের আগ্রান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বিথি ওই এলাকার কৃষক আবু বক্করের বড় মেয়ে। বিথি স্থানীয় একটি সংস্থা পরিচালিত উপ-আনুষ্ঠানিক প্রথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে চারদিকে হঠাৎ কালো মেঘে ঢেকে আসে আকাশ, শুরু হয় প্রবল ঝড় হাওয়া। সে সময় বিথি বাড়ির প্রাচীরের পাশে থাকা একটি কলের কাছে হাত-পা ধুচ্ছিল। হঠাৎ করেই প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়ায় বাড়ির পুরনো ও দুর্বল প্রাচীরটি ধসে পড়ে বিথির শরীরের উপর। বিকট শব্দে ভেঙে পড়া প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে ছোট্ট মেয়েটি।এতে তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায় এবং রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে। মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাড়িজুড়ে। বিথির পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত বনপাড়া বাইপাসে অবস্থিত বেসরকারি আমেনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই বিথি মারা গেছে। বিথির নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার ও এলাকাবাসী।

বিথির চাচা হোসেন আলী বলেন, ‘এই করুণ মৃত্যু শুধু একটি পরিবারের নয়, একটি গ্রামেরও অপূরণীয় ক্ষতি। স্কুলে ভীষণ মনোযোগী ও মেধাবী ছিল বিথি। শিক্ষকরা বলতেন, সে বড় হয়ে শিক্ষক হতে চায়, গ্রামের শিশুদের পড়াতে চায়। এমন স্বপ্ন নিয়ে পথচলা ছোট্ট মেয়েটি জীবন নামের পথেই থেমে গেল এক অযত্নে নির্মিত প্রাচীরের নিচে। বিথির মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সবাই বাকরুদ্ধ।’

উল্লখ্য,বিথির চাচা ডা: আবু হানিফ রংপুর মেডিকেল কলেজের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।মর্মান্তিক এই মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এমএস