ঢাকা ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এত আত্মত্যাগ কোনো মহামানবকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়: আমির খসরু

ছবি: সংগৃহীত

কোন মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, কোন মহামানব, কোন দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে-তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নাই।

সোমবার বিএনপির সঙ্গে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন- বাংলাদেশের জনগণ এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই ভালো সমাধান মনে করছে।

গত সপ্তাহে আর্থনা সামিটে অংশ নিতে দোহা সফরে গিয়ে আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন প্রধান উপদেষ্টা। রোববার রাতে সেই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে আল জাজিরা।

প্রধান উপদেষ্টা এও বলেছেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার সেরে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে, তার পরে নয়।

আলজাজিরায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস যে জনগনের কথা বলেছেন ‘সেই জনগণ কারা’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বলেন, জনগণ ভোট চাচ্ছে না, এটা কিভাবে বুঝলেন? এখানে বলা হচ্ছে, জনগন। জনগন বলতে কারা? এখন কোনো একটা বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধাভোগী গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে। কোনো বেশি বিশেষ সুযোগ-সুবিধাভোগী বিরুদ্ধাচরণ করছে এটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, এমন প্রায় ৫০টি দল পরিস্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য। এর সঙ্গে সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে, সেই সংস্কারগুলো ইমিডিয়েটলি করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘গত ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে জবাবদিহি থাকবে সেটা যেই সরকারেই হোক,’ যোগ করেন তিনি।

সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মিত্র শরিক ন্যাপ-ভাসানী, আমজনতার দল ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সাথে আলাদা আলাদা বৈঠক করে বিএনপি।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

ন্যাপ-ভাসানীর নেতৃত্বে দেন দলটির চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম। আমজনতার দলের নেতৃত্ব ছিলেন দলটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মশিউজ্জামান এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমা আখতার।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

এত আত্মত্যাগ কোনো মহামানবকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়: আমির খসরু

আপডেট সময় : ১০:০৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

কোন মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, কোন মহামানব, কোন দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে-তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নাই।

সোমবার বিএনপির সঙ্গে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন- বাংলাদেশের জনগণ এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেই ভালো সমাধান মনে করছে।

গত সপ্তাহে আর্থনা সামিটে অংশ নিতে দোহা সফরে গিয়ে আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন প্রধান উপদেষ্টা। রোববার রাতে সেই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে আল জাজিরা।

প্রধান উপদেষ্টা এও বলেছেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার সেরে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে, তার পরে নয়।

আলজাজিরায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস যে জনগনের কথা বলেছেন ‘সেই জনগণ কারা’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বলেন, জনগণ ভোট চাচ্ছে না, এটা কিভাবে বুঝলেন? এখানে বলা হচ্ছে, জনগন। জনগন বলতে কারা? এখন কোনো একটা বিশেষ গোষ্ঠী সুবিধাভোগী গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে। কোনো বেশি বিশেষ সুযোগ-সুবিধাভোগী বিরুদ্ধাচরণ করছে এটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, যেসব রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, এমন প্রায় ৫০টি দল পরিস্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের জন্য। এর সঙ্গে সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে, সেই সংস্কারগুলো ইমিডিয়েটলি করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।’

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘গত ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যেই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে জবাবদিহি থাকবে সেটা যেই সরকারেই হোক,’ যোগ করেন তিনি।

সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মিত্র শরিক ন্যাপ-ভাসানী, আমজনতার দল ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সাথে আলাদা আলাদা বৈঠক করে বিএনপি।

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।

ন্যাপ-ভাসানীর নেতৃত্বে দেন দলটির চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম। আমজনতার দলের নেতৃত্ব ছিলেন দলটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মশিউজ্জামান এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাজমা আখতার।

কেকে