ঢাকা ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান চলতি মাসেই জুলাই সনদ প্রকাশ করতে হবে : রাশেদ প্রধান জুলাই সনদ নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম সংস্কারবিহীন কোনো নির্বাচন জামায়াত গ্রহণ করবে না: তাহের দুঃখিত, এবার আর তা হবে না: প্রেস সচিব জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা স্বৈরাচারের লক্ষণ দেখামাত্রই যেন বিনাশ করতে পারি: প্রধান উপদেষ্টা জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে অন্তর্বর্তী সরকার, কোনো দল বা ব্যক্তি নয় : জুলাই ঐক্য পদ্মা সেতুর মামলার প্রতিবেদন গায়ের জোরে দিয়েছে বিগত কমিশন : দুদক চেয়ারম্যান সবুজ পৃথিবী চাই: বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

শান্তিরক্ষী মিশনে আরও নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করতে বাংলাদেশ প্রস্তুতির কথাও তুলে ধরেন তিনি।

রোববার (২০ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের শান্তি অপারেশন বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জিন-পিয়ের ল্যাক্রিক্স। এ সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি জিনিস౼যা আমি উৎসাহিত করি౼তা হলো, শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বেশি বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ।’

তিনি জানান, ১১টি সক্রিয় মিশনের ১০টি জুড়ে ৫ হাজার ৬৭৭টি শান্তিরক্ষীর সঙ্গে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে শীর্ষ তিন সেনা/পুলিশ-অবদানকারী দেশের (টিপিসিসি) মধ্যে অবস্থান করছে।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল শান্তিরক্ষায় আরও নারীকে নিযুক্ত করার জাতিসংঘের নীতি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা নারীদের নির্দিষ্ট ভূমিকায় আটকে রাখতে চাই না। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষার্থে সব দিক থেকে নারীদের নিয়োগে সহায়তা করবে।’

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা শান্তিরক্ষা ক্ষমতা রেডিনেস সিস্টেমের (পিসিআরএস) দ্রুত মোতায়েন পর্যায়ে পাঁচটি ইউনিটের বাংলাদেশের অঙ্গীকারকে গুরুত্ব দেন। প্রয়োজনে যেকোনো সময় অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করতে বাংলাদেশ প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘের সদর দপ্তর ও মাঠ উভয় স্তরে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে সমর্থন করেন। জাতিসংঘ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা বাংলাদেশকে সমর্থন করবে।

প্রধান উপদেষ্টা আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ কঠোরভাবে মেনে চলে এবং মানবাধিকার মেনে চলা জোরদার করতে প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহির ওপর জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আরও সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়।

আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয় যে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল ১৩ থেকে ১৪ মে ২০২৫ পর্যন্ত জার্মানিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেবে।

সাক্ষাতে মিয়ানমারে চলমান সংঘাত এবং সীমান্তের ওপরে গোলাগুলিতে বাংলাদেশে বেসামরিক প্রাণহানি এবং নাফ নদীর পাড়ের জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি সতর্ক করে জানান, চলমান অস্থিতিশীলতার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।

এ সময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরে পরিদর্শনের কথা স্মরণ করে বলেন, তার সফর রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নতুন আশা জাগিয়েছে।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

কলকাতার মতো শহর পৃথিবীতে নেই : জয়া আহসান

শান্তিরক্ষী মিশনে আরও নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় : ০৬:২৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করতে বাংলাদেশ প্রস্তুতির কথাও তুলে ধরেন তিনি।

রোববার (২০ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের শান্তি অপারেশন বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জিন-পিয়ের ল্যাক্রিক্স। এ সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক শান্তি রক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘একটি জিনিস౼যা আমি উৎসাহিত করি౼তা হলো, শান্তিরক্ষা মিশনে আরও বেশি বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ।’

তিনি জানান, ১১টি সক্রিয় মিশনের ১০টি জুড়ে ৫ হাজার ৬৭৭টি শান্তিরক্ষীর সঙ্গে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে শীর্ষ তিন সেনা/পুলিশ-অবদানকারী দেশের (টিপিসিসি) মধ্যে অবস্থান করছে।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল শান্তিরক্ষায় আরও নারীকে নিযুক্ত করার জাতিসংঘের নীতি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা নারীদের নির্দিষ্ট ভূমিকায় আটকে রাখতে চাই না। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষার্থে সব দিক থেকে নারীদের নিয়োগে সহায়তা করবে।’

এ সময় প্রধান উপদেষ্টা শান্তিরক্ষা ক্ষমতা রেডিনেস সিস্টেমের (পিসিআরএস) দ্রুত মোতায়েন পর্যায়ে পাঁচটি ইউনিটের বাংলাদেশের অঙ্গীকারকে গুরুত্ব দেন। প্রয়োজনে যেকোনো সময় অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করতে বাংলাদেশ প্রস্তুতির কথা তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘের সদর দপ্তর ও মাঠ উভয় স্তরে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর বিষয়ে সমর্থন করেন। জাতিসংঘ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা বাংলাদেশকে সমর্থন করবে।

প্রধান উপদেষ্টা আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলকে নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ কঠোরভাবে মেনে চলে এবং মানবাধিকার মেনে চলা জোরদার করতে প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহির ওপর জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আরও সহযোগিতাকে স্বাগত জানায়।

আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয় যে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল ১৩ থেকে ১৪ মে ২০২৫ পর্যন্ত জার্মানিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রী সম্মেলনে যোগ দেবে।

সাক্ষাতে মিয়ানমারে চলমান সংঘাত এবং সীমান্তের ওপরে গোলাগুলিতে বাংলাদেশে বেসামরিক প্রাণহানি এবং নাফ নদীর পাড়ের জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি সতর্ক করে জানান, চলমান অস্থিতিশীলতার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে।

এ সময় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরে পরিদর্শনের কথা স্মরণ করে বলেন, তার সফর রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নতুন আশা জাগিয়েছে।

এমএস