দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার দুপুরে সাক্ষাৎ শেষে দুদক কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা কিছু অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে এসেছি। আমাদের অভিযোগগুলো লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
কী ধরনের অভিযোগ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভেরি কনফিডেনসিয়াল (অতি গোপনীয়)।’ কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ– এ প্রশ্নে সরাসরি উত্তর না দিয়ে হাসনাত বলেন, ‘এটিও ভেরি কনফিডেনসিয়াল। এখন কনফিডেনসিয়াল বিষয় বলে দিলে তো আর কনফিডেনসিয়াল থাকল না। তাছাড়া অপরাধীরা তখন সতর্ক হয়ে যাবে।’
এসময় সারজিস আলম বলেন, ‘অতীতে দুদককে ব্যবহার করে অনেকে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। অনেক সাধারণ মানুষকে আবার বিনা অপরাধে হয়রানি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সময়ে এসেও এখন আমরা সেটি প্রত্যাশা করি না। আমাদের কিছু অভিযোগ ছিল। আমরা সেগুলো লিখিতভাবে জানিয়েছি। সেজন্যই আমরা এখানে এসেছি। এর বেশি কিছু বলছি না এখন।’
সম্প্রতি সারজিস ও হাসনাত সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষৎ করেন। ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠন ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কে জড়িয়েছেন তারা।
সাক্ষতের পরও হাসনাত ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে নতুন একটি ষড়যন্ত্র নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি ভারতের। আমিসহ আরও দু’জনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এ পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় গত ১১ মার্চ দুপুর আড়াইটায়। হাসনাতের বিস্ফোরক পোস্টের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, ‘সেদিন আমি এবং হাসনাত সেনাপ্রধানের সঙ্গে গিয়ে কথা বলি।’
সারজিস উল্লেখ করেন, ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের জন্য চাপ দেওয়ার’ যে বিষয়টি এসেছে সেখানে ‘চাপ দেওয়া হয়েছে’ এমনটি আমার মনে হয়নি। যেভাবে এই কথাগুলো ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এসেছে, এই প্রক্রিয়াটি আমার সমীচীন মনে হয়নি।
সারজিসের পোস্টের নিচে মন্তব্যের ঘরে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ লেখেন, ‘এসব কী ভাই! পাবলিকলিই বলছি, দুজনের একজন মিথ্যা বলছেন। এটা চলতে পারে না। মানুষ এনসিপিকে নিয়ে যখন স্বপ্ন বুনছে, তখন এভাবে এনসিপিকে বিতর্কিত করার কাদের এজেন্ডা!’
কেকে