ঢাকা ০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিবির নেতার ভুলে আমিমুল ইহসান হল হয়ে গেল ‘আমির উদ্দিন হল’! সিএনজি পাম্পে গ্যাস নিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চালকের মৃত্যু বিএনপি’র দুর্দিনে বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েও কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মোঃ রাজন আলী গুম কমিশনে ২৫৩ জনের অভিযোগ প্রমাণিত: মইনুল ইসলাম গ্রামীণ ব্যাংকে চাকরি নিয়োগ, আবেদন অনলাইনে ইলিশ রক্ষা আমাদের জাতীয় কর্তব্য: মৎস্য উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি : সেনাসদর বিশ্ববাসীকে পরিষ্কার বার্তা দিতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর: তারেক রহমান ভালো আলাপ-আলোচনা হচ্ছে কিন্তু ঐকমত‍্য হচ্ছে না : এবি পার্টি প্রায় প্রতিদিনই ট্রাম্পের সঙ্গে আমার কথা হয়: নেতানিয়াহু

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান ইয়ারাম কোহেন। তবে তার এ অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোহেন দাবি করেন, নেতানিয়াহু তাকে মন্ত্রিসভা থেকে নাফতালি বেনেটকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এ অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যা দিয়েছে পিএমও। এক বিবৃতিতে পিএমও বলছে, কোহেন এখন রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন এবং শিন বেটের বর্তমান প্রধান রোনেন বারের অধীনে সংস্থাটিতে দুর্নীতিকে ঢাকতে উদ্ভট মিথ্যা বলছেন।

পিএমওর বক্তব্যে বলা হয়, এ মিথ্যা অভিযোগ শুধু প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সততার বিরুদ্ধেও আঘাত হানে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান হিসেবে কোহেনের অবস্থানকে পুঁজি করে এই অভিযোগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

নাফতালি বেনেট ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী জোটের নেতা, গত বছর নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসেন। বিশ্লেষকদের মতে, চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে কোহেনের এই দাবি নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তবে পিএমও দৃঢ়ভাবে বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, কোহেনের কথার কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি সম্পূর্ণ কল্পিত।

শিন বেটের বর্তমান প্রধান রোনেন বার সম্পর্কে দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করে পিএমও জানায়, কোহেন সম্ভবত সংস্থাটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছেন। গত কয়েক মাসে শিন বেটের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও পদক্ষেপ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে সরকারি মহল এই অভিযোগগুলোকে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শিবির নেতার ভুলে আমিমুল ইহসান হল হয়ে গেল ‘আমির উদ্দিন হল’!

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:০৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান ইয়ারাম কোহেন। তবে তার এ অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোহেন দাবি করেন, নেতানিয়াহু তাকে মন্ত্রিসভা থেকে নাফতালি বেনেটকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এ অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যা দিয়েছে পিএমও। এক বিবৃতিতে পিএমও বলছে, কোহেন এখন রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন এবং শিন বেটের বর্তমান প্রধান রোনেন বারের অধীনে সংস্থাটিতে দুর্নীতিকে ঢাকতে উদ্ভট মিথ্যা বলছেন।

পিএমওর বক্তব্যে বলা হয়, এ মিথ্যা অভিযোগ শুধু প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সততার বিরুদ্ধেও আঘাত হানে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান হিসেবে কোহেনের অবস্থানকে পুঁজি করে এই অভিযোগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

নাফতালি বেনেট ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী জোটের নেতা, গত বছর নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসেন। বিশ্লেষকদের মতে, চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে কোহেনের এই দাবি নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তবে পিএমও দৃঢ়ভাবে বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, কোহেনের কথার কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি সম্পূর্ণ কল্পিত।

শিন বেটের বর্তমান প্রধান রোনেন বার সম্পর্কে দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করে পিএমও জানায়, কোহেন সম্ভবত সংস্থাটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছেন। গত কয়েক মাসে শিন বেটের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও পদক্ষেপ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে সরকারি মহল এই অভিযোগগুলোকে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

কেকে