ঢাকা ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আফ্রিকান ইউনিয়নের সম্মেলন থেকে বহিষ্কার ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এড়াতে নতুন কৌশল নেতানিয়াহুর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে জয়পুরহাটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ফিলিস্তিনে গ’ণ’হ’ত্যার প্রতিবাদে শাজাহানপুর উপজেলা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাওয়া সংস্কৃতির অংশ নয়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা মহানগরী জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ৯৯% সম্পদ দান করব, ১% সন্তানদের জন্য রেখে যাবো: বিল গেটস

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান ইয়ারাম কোহেন। তবে তার এ অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোহেন দাবি করেন, নেতানিয়াহু তাকে মন্ত্রিসভা থেকে নাফতালি বেনেটকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এ অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যা দিয়েছে পিএমও। এক বিবৃতিতে পিএমও বলছে, কোহেন এখন রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন এবং শিন বেটের বর্তমান প্রধান রোনেন বারের অধীনে সংস্থাটিতে দুর্নীতিকে ঢাকতে উদ্ভট মিথ্যা বলছেন।

পিএমওর বক্তব্যে বলা হয়, এ মিথ্যা অভিযোগ শুধু প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সততার বিরুদ্ধেও আঘাত হানে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান হিসেবে কোহেনের অবস্থানকে পুঁজি করে এই অভিযোগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

নাফতালি বেনেট ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী জোটের নেতা, গত বছর নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসেন। বিশ্লেষকদের মতে, চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে কোহেনের এই দাবি নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তবে পিএমও দৃঢ়ভাবে বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, কোহেনের কথার কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি সম্পূর্ণ কল্পিত।

শিন বেটের বর্তমান প্রধান রোনেন বার সম্পর্কে দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করে পিএমও জানায়, কোহেন সম্ভবত সংস্থাটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছেন। গত কয়েক মাসে শিন বেটের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও পদক্ষেপ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে সরকারি মহল এই অভিযোগগুলোকে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

কেকে

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:০৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান ইয়ারাম কোহেন। তবে তার এ অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও)।

সোমবার (৭ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কোহেন দাবি করেন, নেতানিয়াহু তাকে মন্ত্রিসভা থেকে নাফতালি বেনেটকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এ অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যা দিয়েছে পিএমও। এক বিবৃতিতে পিএমও বলছে, কোহেন এখন রাজনীতিবিদ হয়ে উঠেছেন এবং শিন বেটের বর্তমান প্রধান রোনেন বারের অধীনে সংস্থাটিতে দুর্নীতিকে ঢাকতে উদ্ভট মিথ্যা বলছেন।

পিএমওর বক্তব্যে বলা হয়, এ মিথ্যা অভিযোগ শুধু প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই নয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের সততার বিরুদ্ধেও আঘাত হানে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সাবেক প্রধান হিসেবে কোহেনের অবস্থানকে পুঁজি করে এই অভিযোগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে।

নাফতালি বেনেট ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী জোটের নেতা, গত বছর নেতানিয়াহুর জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসেন। বিশ্লেষকদের মতে, চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে কোহেনের এই দাবি নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তবে পিএমও দৃঢ়ভাবে বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, কোহেনের কথার কোনো ভিত্তি নেই এবং এটি সম্পূর্ণ কল্পিত।

শিন বেটের বর্তমান প্রধান রোনেন বার সম্পর্কে দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করে পিএমও জানায়, কোহেন সম্ভবত সংস্থাটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছেন। গত কয়েক মাসে শিন বেটের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও পদক্ষেপ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে সরকারি মহল এই অভিযোগগুলোকে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

কেকে