ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত নাটোরে শয়নকক্ষ থেকে যুবদল নেতার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার অনলাইন স্ক্যাম ও জালিয়াতি প্রতিরোধে নতুন ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচারে কমিটি গঠন হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়াতে চায় না ভারত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট শিগগিরই চালু হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক পাকিস্তানের, যা বলছে গণমাধ্যম ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ নাটেরের নলডাঙ্গায় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যু নাটোরে নিহত শিশু জুঁইয়ের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

নাটেরের মেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাসুমা মারা গেলেন

ছবি : সংগৃহীত

নাটোর প্রতিনিধিঃ

চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন গুরুদাসপুরের মেয়ে সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম (৩০)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ‘এখন টেলিভিশনের’ রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টারের দায়িত্বে ছিলেন।

নিহত সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের নারায়ণপুর মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর জব্বারের মেয়ে। মাসুমা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। গত বছর তিনি বেসরকারি টেলিভিশন ‘এখন’-এর রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টারের দায়িত্ব নেন। সংসার জীবনে মাসুমার ১২ বছর বয়সি একটি মেয়ে রয়েছে।

জানাযায়, স্বামীর সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় তার আত্মিয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন মাসুমা। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমল্লিার নূরজাহান হোটেলের সামনে দুর্ঘটনাকবলিত হন। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সিএনজির চালকের সাথে কথা বলার সময় যাত্রীবাহি একটি দ্রুতগামী বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম, তার স্বামী সৈকত ইসলাম ও সিএনজি চালক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাসুমা ও তার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঢাকা মেডিকেলে অবস্থার অবনতি হলে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সঙ্গাহীন অবস্থায় চারদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন এই সাংবাদিক। মৃত্যুর কাছে হেরে গিয়ে মঙ্গলবার চিরঘুমে চলে যান সাংবাদিক মাসুমা। তার স্বামী সৈকত ইসলাম বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, সাংবাদিক মাসুমার মরদেহ প্রথমে রাজধানীর বাবর রোডের মারকাজুল ইসলামে নেওয়া হবে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে নাটোরের গুরুদাসপুরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নারয়াণপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তবে দ্বিতীয় জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়নি।

নিহত সাংবাদিক মাসুমার পিতা আব্দুল জব্বার বলেন, দুই সন্তানের মধ্যে মাসুমা দ্বিতীয়। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে তারা নিরব নির্বিকার। মাসুমার সন্তানও মাকে হারিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।

এমএস

ট্যাগস :

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ ঢাকা আলিয়ার নেতৃত্বে রাকিব মন্ডল ও জিনাত

নাটেরের মেয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক মাসুমা মারা গেলেন

আপডেট সময় : ১০:৩৩:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নাটোর প্রতিনিধিঃ

চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন গুরুদাসপুরের মেয়ে সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম (৩০)। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ‘এখন টেলিভিশনের’ রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টারের দায়িত্বে ছিলেন।

নিহত সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের নারায়ণপুর মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আব্দুর জব্বারের মেয়ে। মাসুমা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। গত বছর তিনি বেসরকারি টেলিভিশন ‘এখন’-এর রাজশাহী ব্যুরোর রিপোর্টারের দায়িত্ব নেন। সংসার জীবনে মাসুমার ১২ বছর বয়সি একটি মেয়ে রয়েছে।

জানাযায়, স্বামীর সঙ্গে ১৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লায় তার আত্মিয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন মাসুমা। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমল্লিার নূরজাহান হোটেলের সামনে দুর্ঘটনাকবলিত হন। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা সিএনজির চালকের সাথে কথা বলার সময় যাত্রীবাহি একটি দ্রুতগামী বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে সাংবাদিক মাসুমা ইসলাম, তার স্বামী সৈকত ইসলাম ও সিএনজি চালক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাসুমা ও তার স্বামীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঢাকা মেডিকেলে অবস্থার অবনতি হলে নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সঙ্গাহীন অবস্থায় চারদিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলেন এই সাংবাদিক। মৃত্যুর কাছে হেরে গিয়ে মঙ্গলবার চিরঘুমে চলে যান সাংবাদিক মাসুমা। তার স্বামী সৈকত ইসলাম বর্তমানে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, সাংবাদিক মাসুমার মরদেহ প্রথমে রাজধানীর বাবর রোডের মারকাজুল ইসলামে নেওয়া হবে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে নাটোরের গুরুদাসপুরে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নারয়াণপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তবে দ্বিতীয় জানাজার সময় নির্ধারণ করা হয়নি।

নিহত সাংবাদিক মাসুমার পিতা আব্দুল জব্বার বলেন, দুই সন্তানের মধ্যে মাসুমা দ্বিতীয়। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে তারা নিরব নির্বিকার। মাসুমার সন্তানও মাকে হারিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে।

এমএস