ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান নোয়াখালীতে হামলার প্রতিবাদে বাগেরহাট পি.সি. কলেজে কোরআন বিতরণ বাগেরহাটে মাদ্রাসার গভর্নিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হুমকি-ধামকি ও মারধর সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার ফিকহ বিভাগে সাফল্যের জোয়ার শরীয়তপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে হেযবুত তাওহীদের মতবিনিময় সভা নলডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৫ পালিত নাটোরের সিংড়ায় ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার: অভিযুক্ত রানা পলাতক কুমিল্লায় পিআর পদ্ধতিসহ ৫দফা দাবিতে জামায়াতের গণমিছিল ও সমাবেশ নোবিপ্রবিতে শীঘ্রই হচ্ছে ছাত্রদলের কমিটি, আলোচনায় জুলাই যোদ্ধা হাসিব ঐশ্বরিয়ার প্রথম পারিশ্রমিক কত ছিল?

রংপুরে দীর্ঘ সাত বছর অপেক্ষার পরেও দেখতে পেল না নিজ সন্তানের মুখ

রংপুরে দীর্ঘ সাত বছর অপেক্ষার পরেও দেখতে পেল না নিজ সন্তানের মুখ

প্রবাসী স্বামীর ৯ বছরের জমানো অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকার হাত ধরে নাছরিন নামে এক গৃহবধূ উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নাছরিন মিঠাপুকুর  উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর  গ্রামের রেজাউল ইসলামের  স্ত্রী। তাদের রাইশা নামের  একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ।

প্রবাস জীবনের সকল আয়ের টাকা পাঠান তার স্ত্রীকে কাছে। অপরদিকে স্বামী বিদেশ থাকাবস্থায় অজ্ঞাত কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তার হাত ধরে পালিয়ে সন্তান রাইশা সহ পালিয়ে যান নাছরিন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিচার-সালিস, অভিযোগ করেও কোন খোঁজ-খবর ও দেখা মিলেনি সন্তান রাইশার সঙ্গে।

এ ব্যাপারে রেজাউলের মা রুপালী বেগম বাদী
হয়ে মিঠাপুকুর  থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে রেজাউল  বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামের জাইদুল হকের মেয়ে নাছরিনকে। বিয়ের পর এক সন্তানের জনক হন রেজাউল ইসলাম । গত ৯ বছব পূর্বে ৪ মাস বয়সি মেয়ে রাইশাকে রেখে মালয়েশিয়ায় যান রেজাউল ইসলাম।  প্রবাস জীবনের সকল আয় করা  টাকা তার স্ত্রীকে দেন। অপরদিকে স্বামী বিদেশ থাকাবস্থায় অজ্ঞাত কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তার হাত ধরে পালিয়ে সন্তান সহ পালিয়ে যান নাছরিন।

খবর পেয়ে রেজাউল ইসলাম  মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসেন। কয়েক বছর ধরে তিনি মেয়ে রাইশাকে এক নজর দেখতে বাংলাদেশের সবখানে খুজে ফিরে অবশেষে না পেয়ে আবারো মালয়েশিয়া ফিরে যান।

রেজাউলের বাবা মিজানুর রহমান কান্যা জড়িত কন্ঠে বলেন, দেনদরবার করে টাকা পয়সা স্বর্ণাঅলংকার সব ফেরত দিতে চেয়েছিলেন নাছরিনের পরিবার। পরে দিতে অস্বিকৃতি জানিয়েছেন। আমাদের টাকা পয়সা দরকার নাই। আমার নাতনির এখন সাত বছর বয়স হয়েছে।আমরা তাকে ভালো পরিবেশে রাখতে  আইনগত অভিভাবক হতে চাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত জানি না আমার নাতনি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। নাছরিনের পরিবার আমাদের কখনও মোবাইল নাম্বার কিংবা ঠিকানা দিচ্ছেন না।

মোঃ মশিউর রহমান ইসাদ

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা আলিয়ার স্বাস্থ্যকর ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে শিবিরের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

রংপুরে দীর্ঘ সাত বছর অপেক্ষার পরেও দেখতে পেল না নিজ সন্তানের মুখ

আপডেট সময় : ০১:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

প্রবাসী স্বামীর ৯ বছরের জমানো অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রেমিকার হাত ধরে নাছরিন নামে এক গৃহবধূ উধাও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নাছরিন মিঠাপুকুর  উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হয়বতপুর  গ্রামের রেজাউল ইসলামের  স্ত্রী। তাদের রাইশা নামের  একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ।

প্রবাস জীবনের সকল আয়ের টাকা পাঠান তার স্ত্রীকে কাছে। অপরদিকে স্বামী বিদেশ থাকাবস্থায় অজ্ঞাত কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তার হাত ধরে পালিয়ে সন্তান রাইশা সহ পালিয়ে যান নাছরিন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন বিচার-সালিস, অভিযোগ করেও কোন খোঁজ-খবর ও দেখা মিলেনি সন্তান রাইশার সঙ্গে।

এ ব্যাপারে রেজাউলের মা রুপালী বেগম বাদী
হয়ে মিঠাপুকুর  থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে রেজাউল  বিয়ে করেন পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামের জাইদুল হকের মেয়ে নাছরিনকে। বিয়ের পর এক সন্তানের জনক হন রেজাউল ইসলাম । গত ৯ বছব পূর্বে ৪ মাস বয়সি মেয়ে রাইশাকে রেখে মালয়েশিয়ায় যান রেজাউল ইসলাম।  প্রবাস জীবনের সকল আয় করা  টাকা তার স্ত্রীকে দেন। অপরদিকে স্বামী বিদেশ থাকাবস্থায় অজ্ঞাত কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে তার হাত ধরে পালিয়ে সন্তান সহ পালিয়ে যান নাছরিন।

খবর পেয়ে রেজাউল ইসলাম  মালয়েশিয়া থেকে বাড়িতে আসেন। কয়েক বছর ধরে তিনি মেয়ে রাইশাকে এক নজর দেখতে বাংলাদেশের সবখানে খুজে ফিরে অবশেষে না পেয়ে আবারো মালয়েশিয়া ফিরে যান।

রেজাউলের বাবা মিজানুর রহমান কান্যা জড়িত কন্ঠে বলেন, দেনদরবার করে টাকা পয়সা স্বর্ণাঅলংকার সব ফেরত দিতে চেয়েছিলেন নাছরিনের পরিবার। পরে দিতে অস্বিকৃতি জানিয়েছেন। আমাদের টাকা পয়সা দরকার নাই। আমার নাতনির এখন সাত বছর বয়স হয়েছে।আমরা তাকে ভালো পরিবেশে রাখতে  আইনগত অভিভাবক হতে চাই। কিন্তু আজ পর্যন্ত জানি না আমার নাতনি বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে। নাছরিনের পরিবার আমাদের কখনও মোবাইল নাম্বার কিংবা ঠিকানা দিচ্ছেন না।

মোঃ মশিউর রহমান ইসাদ